পরিকল্পনা: এই সেতুর কাছেই হবে নতুন আকর্ষণ। —নিজস্ব চিত্র।
পাহাড়ে উঠতে শুরু করলেই পাশে চলে আসে তিস্তা। তারই মধ্যে প্রথমে পাহাড়ের গা ঘেঁষে চলে যাওয়া রেলপথ। তার পরে ব্রিটিশ রাজের সাক্ষী করোনেশন সেতু। আর তার পাশেই প্রাচীন কালী মন্দির। কালিম্পং বা সিকিম যাতায়াতের পথে এক বারও এই সেবকে থামেননি, এমন পর্যটক খুব কম পাওয়া যাবে। এ বারে সেই পর্যটকদের সেবকে আরও একটু বেশি সময় ধরে রাখতে উদ্যোগী রাজ্য পর্যটন দফতর।
দফতর সূত্রের খবর, সেবক বাজার লাগোয়া এলাকার জাতীয় সড়কের ধারে একটি পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সে জন্য প্রাথমিক ভাবে একটি জমি দেখে নথিপত্র পরীক্ষার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে কিছুটা উঁচুতে জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ি এলাকায় কেন্দ্রটি গড়ার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। সেখানে কয়েকটি কটেজ ছাড়াও বড় মাপের রেস্তোরাঁ থাকবে। থাকবে পর্যটকদের জন্য হেল্প ডেক্সও। ৩১ নম্বর এবং ১০-এ জাতীয় সড়কের এই রুট দিয়ে যাতায়াতকারী পর্যটকদের কাছে ‘হল্ট-স্পট’ হিসেবে কেন্দ্রটির চাহিদা থাকবে বলে অফিসারদের অনুমান।
জায়গা যে ইতিমধ্যেই বাছা হয়েছে, সে কথা জানিয়ে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘সেটি জেলা প্রশাসন বা বন দফতরের, নাকি অন্য কারও, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার পরেই প্রকল্পের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।’’
শিলিগুড়ি শহর থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যেই সেবক। এখান থেকে উত্তর-দক্ষিণে একটু দূরে কালিঝোরা, মংপং এবং বেঙ্গল সাফারি। পর্যটকেরা এখানে খানিক জিরিয়েও যান। মন্ত্রী জানান, সব দেখেশুনে তাই জায়গাটিকে বাছা হয়েছে।
পর্যটন দফতরের কর্তারা জানান, ১৯৩৭ সালে ব্রিটেনের ‘রাজা ষষ্ঠ জর্জ এবং রানি এলিজাবেথের’ অভিষেকের স্মারক হিসেবে তিস্তা নদীতে করোনেশন সেতুটি তৈরি হয়। সেবক থেকে রংপো অবধি ট্রেন লাইন করার পরিকল্পনাও নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে একাধিক ঝোরা রয়েছে। এমনকী, সেবকে আলাদা বড় পুলিশ ফাঁড়িও আছে। কিন্তু এলাকায় প্রচুর খাবারের দোকান হলেও থাকার জায়গা বলতে বেশ কয়েক কিলোমিটারের দূরের মংপং বন বাংলো।
এ বারে এই এলাকায় থাকার জায়গা হলে তা উত্তরবঙ্গের বাড়তি আকর্ষণ হবেই বলে ধারণা বাসিন্দাদেরও।