Bimal Gurung

গুরুংয়ের ‘নীরবতা’ জল্পনা বাড়াচ্ছে পাহাড়ে

গুরুংয়ের দল পাহাড়ে পুরসভা, জিটিএ এবং বিধানসভায় অংশ নিয়েছে। লোকসভা ভোটে গুরুং শিবির বরাবর বিজেপির পাশে থেকেছেন।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৩৯
Share:

বিমল গুরুংয়। — ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুংয়ের ‘নীরবতায়’ জল্পনা বাড়ছে দার্জিলিং পাহাড়ে৷ আগামী বছরের শুরুতে রাজ্যের অন্য জেলার সঙ্গে পাহাড়েও দু’দশক পরে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাবনা। সেখানে বিমলের দল মোর্চা ভোটে লড়বে, না কি তৃণমূল শিবির ছেড়ে অন্য কোনও শিবিরে যোগ দেবে, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। আপাতত গুরুং অবশ্য দিল্লির গোর্খা সমাবেশ নিয়ে কাজ করছেন। ডিসেম্বরে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচির আহ্বান করে আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে দিল্লিতে দু’দিনের কর্মশালা করতে চান। দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট এখনও দেরি আছে৷ যথাযথ সময়ে দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।’’

Advertisement

গুরুংয়ের দল পাহাড়ে পুরসভা, জিটিএ এবং বিধানসভায় অংশ নিয়েছে। লোকসভা ভোটে গুরুং শিবির বরাবর বিজেপির পাশে থেকেছেন। সাড়ে তিন বছর পাহাড়-ছাড়া থাকার পরে, তৃণমূলকে সমর্থন করে রাজ্যে ফেরেন তিনি। পরে, দার্জিলিং পাহাড়ে এসে গুরুং দলের নতুন করে হাল ধরেন। তবে ততদিনে দল ভেঙে গিয়েছে।প্রথমে বিনয় তামাং, অনীত থাপা এক সঙ্গে, পরে অনীত একাই নতুন দল তৈরি করে নেন। গুরুং সংগঠনের পরিস্থিতি বুঝে জিটিএ ভোটে লড়েননি। অনীত এখন জিটিএ চিফ। এর মধ্যে রাজ্যের সঙ্গে গুরুংয়ের দূরত্ব বেড়েছে। গুরুং শিবির থেকে নানা দাবি তোলা হলেও, সরকারের তরফে তা নিয়ে উচ্চবাচ্য করা হয়নি। উল্টে, পাহাড়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অনীতের সঙ্গে নতুন আর একটি দলের নেতা অজয় এডওয়ার্ডদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রশাসনিক বৈঠকে গুরুং শিবিরের রোশন গিরিকে এক বার ডাকা হলেও আর কারও সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করেননি।

এই নিয়ে গুরুং শিবিরে একটা অসন্তুষ্টি রয়েছে। সম্প্রতি গুরুং আলাদা রাজ্যের দাবি নতুন করে তুলছেন। এ ছাড়া, রাজ্য সরকার এখনও পাহাড়-সমস্যা মেটানো নিয়ে কাজ করেনি বলেও সরাসরি জানিয়েছেন তিনি। সে জায়গায় গুরুং আবার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি শিবিরে ফিরতে পারেন বলে চাউর হয়েছে। যদিও রাজ্যের সঙ্গে ‘টানাপড়েন’, পুরনো মামলার নিষ্পত্তি না করে বিজেপি শিবিরে গুরুং কী ভাবে যাবেন, তা নিয়েও নানা বক্তব্য রয়েছে।

Advertisement

মোর্চার গুরুং-ঘনিষ্ঠ এক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বলেন, ‘‘পাহাড়-ছাড়া অবস্থায় সাড়ে তিন বছরে বিজেপি কী করেছে, তা আমরা জানি। আবার রাজ্যও কী করেছিল, সেটাও সবার জানা। আপাতত রাজ্যের সঙ্গে অম্লমধুর সম্পর্ক রয়েছে। যদিও রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। দ্রুত সভাপতি দলের অবস্থান স্পষ্ট করবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement