Patta Distribution

মমতার সভা থেকেই কি পাট্টা বিলি

গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে, জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে জনসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিকদের পাট্টা বিলির ঘোষণা করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:০৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

চা শ্রমিকদের পাট্টা বিলির প্রক্রিয়া ফের শুরু হতে পারে চলতি মাসে। প্রশাসন সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে এই পর্যায়ের পাট্টা বিলির সূচনা হতে পারে। আগামী ১১ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ির বানারহাটে প্রশাসনিক সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। ডুয়ার্সের চা বলয়ের অন্যতম কেন্দ্র বানারহাট। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা রয়েছে।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে, জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে জনসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিকদের পাট্টা বিলির ঘোষণা করেছিলেন। তার পরে, শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জেলায় এসে শ’দুয়েক পাট্টা পরীক্ষামূলক ভাবে বিলি করেন। প্রশাসন সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে পাট্টা বিলি শুরু করে এই পর্যায়ে অন্তত চার হাজার শ্রমিককে পাট্টা দেওয়া হতে পারে। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিকদের কাছে মায়ের মতো। চা শ্রমিকদের সরকারি বাসস্থান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক ভাবে পাট্টা বিলির প্রস্তুতিও চলছে। ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা বানারহাটের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে অধীর আগ্রহে রয়েছি।”

বানারহাটের এই সভাস্থল রাজনৈতিক ভাবেও ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে দাবি। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রীই গত বিধানসভা ভোটের আগে, নতুন বানারহাট ব্লকের ঘোষণা করেছিলেন। সদ্য হয়ে যাওয়া ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির হাত থেকে আসন কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল। ধূপগুড়ি বিধানসভার অন্তর্গত বানারহাটের চা বলয়ে বিজেপির থেকে ভাল ফল করেছে তৃণমূল। বিধানসভা উপনির্বাচনের পরে, ধূপগুড়িকে নতুন মহকুমাও ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। তার পরে জলপাইগুড়ি জেলায় প্রশাসনিক সভা করার জন্য বানারহাটকে বেছে নেওয়া ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। তৃণমূলের একাংশের দাবি, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি সব দলই শুরু করেছে। সে সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভা দলকে বাড়তি উজ্জীবিত করবে।

Advertisement

তবে বানারহাটের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী কোন কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা বিলি করবেন অথবা নতুন কী ঘোষণা হবে তা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাইছে না জেলা প্রশাসন। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “অনেক কিছুই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে সে সবের রদবদলও হতে পারে। সে কারণে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।”

মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে জেলার একাধিক রাস্তার শিলান্যাস এবং উদ্বোধন হওয়ার কথা। তার মধ্যে অনেক রাস্তা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ)। কয়েক কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন এসডেজিএ-এর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আদিবাসী চা শ্রমিকদের এ বার রাজ্য সরকার জমির অধিকার দিচ্ছে। এই প্রথম দেশে এমন উদ্যোগ কোনও মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। এ নিয়েও বানারহাটের সভায় বিস্তারিত শোনার অপেক্ষায় আছি সকলে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement