Nisith Pramanik

নিশীথের বাড়ি ঘেরাও নিয়ে চর্চা তৃণমূলে

এ দিকে, দলের দুই শীর্ষ নেতা গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ (‌জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান) ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (প্রাক্তন মন্ত্রী) জেলার বাইরে রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:০০
Share:

অভিষেক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্ৰতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে পারদ চড়ছে কোচবিহারে। দলীয় সূত্রে খবর, ওই দিন রাজ্যের শাসক দলের একাধিক শীর্ষ নেতা বাইরে থাকায় ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন না। তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। সেই সঙ্গে বিজেপির পাল্টা হুঁশিয়ারি, এ বার তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি ঘেরাওয়ে তারা পিছ-পা হবে না।

Advertisement

বিজেপির কোচবিহার জেলার সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘আমরা মুখে কম কথা, বেশি কাজে বিশ্বাসী। দেখতে পাবেন ১৯ ফেব্রুয়ারি কী হয়! আমরা কলকাতায় আছি। ফিরে গিয়েই ওই বিষয়ে বৈঠক করব।’’ তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘নিরীহ রাজবংশী যুবকের হত্যার প্রতিবাদের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি আমরা করব। আমাদের সমস্ত নেতা-কর্মীরা ওই কর্মসূচিতে থাকবেন। বিজেপি কী কর্মসূচি নেবে, সেটা তাদের বিষয়।’’ এ দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভেটাগুড়ির বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি সফল করতে দিনহাটায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মিসভা হয় শুক্রবার। সংগঠনের জেলা সভাপতি অনির্বাণ সরকার জানান, নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি সফল করে তুলতে, দলের মহকুমা কার্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন ব্লক নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা হয়। কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের মাথাভাঙা কলেজের মাঠে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে বিএসএফের গুলিতে মৃত দিনহাটার প্রেমকুমার বর্মণের বাবা-মা-কে হাজির করানো হয়। এক দিন পরে, অভিষেক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্ৰতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি নিশীথের বাড়ির এলাকা ভেটাগুড়িতে জমায়েতের ডাক দেয় তৃণমূল। কর্মসূচি ঘিরে ভেটাগুড়িতে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। দলের তরফে ঘোষণা হয়েছে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৫ হাজার কর্মী-সমর্থক তাতে যোগ দেবেন।

Advertisement

এ দিকে, দলের দুই শীর্ষ নেতা গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ (‌জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান) ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (প্রাক্তন মন্ত্রী) জেলার বাইরে রয়েছেন। গিরীন্দ্রনাথ বাংলাদেশে গিয়েছেন ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে। রবীন্দ্রনাথ গিয়েছেন কলকাতায়। অভিজিৎ বলেন, ‘‘দু’জনেরই আগাম কর্মসূচি ছিল। রবীন্দ্রনাথ পুরসভার উন্নয়নের কাজে গিয়েছেন। গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে। দু’জনেই দলকে তা জানিয়েছেন। উন্নয়নের কাজ যেমন চলবে, তেমন আন্দোলনও চলবে।’’ রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘জরুরি কাজে কলকাতায় এসেছি। দলের সভাপতিকে আগাম জানিয়েছি।’’ যদিও তৃণমূল সূত্রের দাবি, দলের একাধিক শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতিতে সাংসদের বাড়ি ঘেরাও করা নিয়ে কিছুটা ‘অনিশ্চয়তা’ রয়েছে অনুগামীদের একাংশের মধ্যে।

বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসুর টিপ্পনী, ‘‘দলের নেতারা এমন আন্দোলনে যোগ দেবেন না বুঝে, তৃণমূলের অনেকে কিন্তু-কিন্তু করছেন।’’ অভিজিতের পাল্টা দাবি, উদয়ন গুহ, পরেশ অধিকারী, জগদীশ বসুনিয়া, বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, পার্থপ্রতিম রায় থেকে শুরু করে জেলার প্রত্যেক শীর্ষ নেতা আন্দোলনে থাকবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement