আরিজ আফতাব। ফাইল চিত্র।
ভোটার তালিকা নিয়ে সিইও দফতরের কড়া কড়া প্রশ্নের মুখে পড়লেন উত্তরের পাঁচ জেলার আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, বুধবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে পাঁচ জেলাশাসক ও শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব। ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। সেটা ধরেই বিধানসভা ভোট হবে। চূড়ান্ত তালিকা বেরোতে হাতে যে হপ্তাদুয়েক রয়েছে তার মধ্যে বিভিন্ন বুথের তালিকা ফের যাচাই করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে সিইও দফতর।
সূত্রের খবর, এ দিন বৈঠকে সিইও দফতরের এক আধিকারিক একটি জেলার প্রতিনিধিকে একটি বুথের নাম ধরে প্রশ্ন করেন, ‘‘ওই বুথের ভোটার তালিকা থেকে একটিও নাম বাদ যায়নি?’’ প্রতি বছরই ভোটার তালিকা থেকে কিছু নাম বাদ যায়। এলাকার বাসিন্দাদের কেউ অন্যত্র চলে যাওয়ার কারণে, কিংবা কোনও ভোটারের মৃত্যুর কারণে। যে বুথগুলিতে এমন নাম বাদ যায়নি, সেগুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিইও দফতর। মৃত্যুর কারণে যে সব বুথে কোনও নাম বাদ যায়নি সেগুলির তালিকাও বৈঠকে দেখানো হয়েছে। ভোটার তালিকায় যেন মৃত ভোটারের নাম না থাকে তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের শেষে সিইও আরিজ আফতার বলেন, “পাঁচটি জেলার জেলাশাসক ও নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে তালিকা সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিধানসভা ভোট আসছে, ভোটের প্রস্তুতি এবং সেগুলির পর্যালোচনা হয়েছে।”
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার প্রতিনিধিরা বৈঠকে ছিলেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, যতটা সম্ভব নিখুঁত এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রকাশ করেই যে বিধানসভা ভোট করাতে চাইছে কমিশন, সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এ দিন। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ভোটার তালিকায় নাম বদলির প্রসঙ্গ তোলেন সিইও দফতরের আধিকারিকেরা। নতুন কেন্দ্রে নাম তোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের কর্তাদের যাচাই করে দেখতে হবে পুরনো কেন্দ্রে সেই একই ব্যক্তির নাম থেকে যায়নি তো। একই নাম যেন একাধিক তালিকায় না থাকে তা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে বলে সিইও জানিয়ে দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “যে নির্দেশগুলি সিইও দিয়েছেন, সেগুলি সবই রুটিন মেনে করা হয়ে চলছে।”