প্রতীকী ছবি।
প্রভাবশালী এক তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষকের নামে ১০০ দিনের জবকার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ওই নেতার নাম মলয় মণ্ডল। তাঁর নামে স্থানীয় জলঘর পঞ্চায়েতের চককাশী গ্রাম সংসদে জবকার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ। মলয়বাবু পেশায় স্কুল শিক্ষক এবং প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। তাঁর নামে জবকার্ড থাকায় রাজনৈতিক বিতর্ক ছড়িয়েছে।
অবশ্য অভিযুক্ত মলয়ের দাবি তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। ২০০৫ সালে তাঁর বাবা নিতাইচন্দ্র মণ্ডলের জবকার্ড ছিল। সেই সূত্রেই পরিবারের অন্য সদস্যরাও জবকার্ডের আওতায় চলে এসেছেন বলে তাঁর দাবি। পঞ্চায়েত সূ্ত্রের খবর, ২০০৫ সালে তাঁর নামে জবকার্ড নথিভুক্ত হলেও তিনি শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন ২০০৬ সালে। মলয়ের পাল্টা অভিযোগ তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে দলেরই একাংশ। কী করে পঞ্চায়েতের অভ্যন্তরের গোপন খবর সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রকাশ হল, তা নিয়েও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। দলের অন্তর্দ্বন্দ্বকেই দুষছেন মলয়।
পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি তথা স্কুল শিক্ষকের নামে জবকার্ড থাকার ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। এ দিন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য নীলাঞ্জন রায় বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে ওঁর নামে জবকার্ড রয়েছে। এর মাধ্যমে ১০০ দিনের প্রকল্পে মজুরির টাকাও পেয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ। এখন বিষয়টি প্রকাশ হতে তিনি উল্টো গাইছেন। প্রশাসনিক পর্যায়ে এর তদন্ত চাই।’’
তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর সুভাষ চাকি জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। দলের জেলা স্তরে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেবেন। যত শীঘ্র সম্ভব পদক্ষেপ করা হবে বলে সুভাষ জানান।