বিমল গুরুং। ফাইল চিত্র।
বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তন ঘিরে দার্জিলিং এবং কালিম্পং, দুই জেলায় পাহাড়ে অশান্তির আশঙ্কা করছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন।
তিন বছর পরে গত ২১ অক্টোবর হঠাৎ কলকাতায় আত্মপ্রকাশ করেন বিমল গুরুং। ঘোষণা করেন তৃণমূলকে সমর্থনের কথা। তার পরই পাহাড়ে চাপা উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। গুরুংয়ের ছবি দেওয়া মোর্চার পতাকা দেখা যায় পাহাড়ে। পরদিন সোনাদায় বিরাট মিছিল করে বিনয় তামাংপন্থীরা বার্তা দেন, যিনি পাহাড়ে ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁর আর পাহাড়ে জায়গা নেই।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা বাড়তে পারে ধরে নিয়ে গত বুধবার, গুরুংয়ের কলকাতায় আসার পরের দিন দার্জিলিং রেঞ্জের ডিআইজি অমিত জাভালগি চূড়ান্ত সতর্কবার্তা (ওআরজি নং- ২০০/ডিআইজি,ডিআর,ডিজেজি)পাঠিয়েছেন। সেখানে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে, ২১ অক্টোবর সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে বিমল গুরুংকে গোর্খা ভবনের আশেপাশে দেখা গিয়েছে। তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তাঁকে ঘিরে পাহাড়ে যাতে কোনও আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা না দেয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন মামলায় ফেরার, তাঁরা যদি আত্মসমর্পণ করেন বা পাহাড়ে ফিরে আসেন, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। এই সংক্রান্ত প্রতিটি মামলার তথ্য, কেস ডায়েরি তৈরি রাখতে হবে।
রাজ্য পুলিশ উত্তরবঙ্গের এক কর্তার কথায়, ‘‘বিমলপন্থী এবং বিনয়পন্থীদের মধ্যে চাপানউতর শুরু হয়েছে। তার জেরে আপাতত মিছিল, মিটিং চলছে। কিন্তু তা নিয়ে যে কোনও সময় গোলমাল হতে পারে। তাই সর্বত্র নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।’’
পুলিশের আশঙ্কা যে খুব একটা ভুল নয়, তার প্রমাণ সোনাদার মিছিলে যেমন মিলেছে, তেমনই পুজোয় দার্জিলিং চকবাজারে লাগানো গুরুংয়ের ছবি-সাঁটা পতাকা উপড়ে ফেলে সেখানে সাধারণ মোর্চার পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।