Bimal Gurung

বিমলের নির্দেশে ফের গোর্খাল্যান্ড পার্সোনেল?

২০০৭-এর ৭ অক্টোবর মোর্চা গঠনের পর থেকে পাহাড়ে বিমল তৈরি করেন জিএলপি বাহিনী।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:১০
Share:

ফাইল চিত্র।

সাড়ে তিন বছর পর বিমল গুরুং দার্জিলিং পৌঁছে নিজের যুব মোর্চাকে শক্তিশালী করার চেষ্টা শুরু করতেই পাহাড়ের তরুণ প্রজন্মকে সতর্ক করলেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা। বিশেষত পাহাড়ে নতুন করে গুরুং জিএলপি বা গোর্খাল্যান্ড পার্সোনেল তৈরির করতে পারেন খবর পেয়ে অনীতেরাও ময়দানে নেমে পড়েছেন।

Advertisement

গত দু’দিন ধরে অনীত কালিম্পঙে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সরকারির চাকরির কথা বলে জিএলপি তৈরি হয়। ছেলেমেয়েদের দিয়ে কী করানো হয়নি! শেষে নেতা ২০১১-এর ক্ষমতায় বসলেও জিএলপি-র কিছু হয়নি। তাই পাহাড়বাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।’’

২০০৭-এর ৭ অক্টোবর মোর্চা গঠনের পর থেকে পাহাড়ে বিমল তৈরি করেন জিএলপি বাহিনী। শুরুটা হয় গোর্খাল্যান্ড পুলিশ নাম নিয়েই৷ পাহাড় জুড়ে নানা প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্প শুরু হয়। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের জিএলপি বাহিনীতে নাম লেখানো হয়। সবুজ রঙের ট্র্যাক প্যান্ট ও জ্যাকেট পড়া জিএলপি-র ছেলেমেয়েরাই গুরুংয়ের নিরাপত্তার দেখভাল করতেন। অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল রমেশ আলে জিএলপি প্রধান ছিলেন।

Advertisement

রাস্তায় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান ও পাহাড়ের নানা কাজে জিএলপিকে নামানো হয়। কিন্তু সরকারি অনুমোদন ছাড়া পুলিশের মতো কাজ শুরু করায় রাজ্য নড়েচড়ে বসে। এর মধ্যে জিএলপি-র বিরুদ্ধে শারীরিক কসরত শিবিরের সঙ্গে অস্ত্র প্রশিক্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাজ্য সরকার ধরপাকড় ও মামলা শুরু করতেই জিএলপি নাম বদলে হয় গোর্খাল্যান্ড পার্সোনেল। ২০১৭ অবধি জিএলপি জনা ২৫-৩০ জন যুবক গুরুংয়ের সঙ্গে সবসময় থাকতেন। পাহাড় ছাড়ার সময়ই তাঁরাও সঙ্গে ছিলেন বলে খবর পাওয়া যায়। তিন বছর পর গুরুং ফেরার পর এখনও অবশ্য জিএলপিকে দেখা যায়নি।

মোর্চা সূত্রের খবর, গুরুং ফিরে আসতেই সক্রিয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে জিএলপিকে। যুব মোর্চা ও নারী মোর্চার সঙ্গে জিএলপিতে থাকা ছেলেমেয়েদের খোঁজ শুরু হয়েছে। তাঁদের নতুন করে সঙ্ঘবদ্ধ করা হবে বলে কয়েকজন জানান। যদিও গুরুং বা গুরুংপন্থী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি মন্তব্য করেননি। দলের তাকভর, সিংমারির এক কয়েকজন যুব মোর্চার নেতারা জানান, ২০১৭-এ মামলা-মোকদ্দমায় জেরবার জিএলপি ছেলেমেয়েরা অনেকে পাহাড় থেকে চলে যান। অনেকে অন্য রাজ্যে কাজ করছেন। কেউ পাহাড়ে থাকলেও আর রাজনীতির মধ্যে আসেননি।

কালিম্পঙে শিপচু-কাণ্ডে ২০১১ সালে জিএলপি মৃত বিমলা রাইয়ের বাড়ির এলাকায় গিয়েছেন অনীত। আলাদা রাজ্যের আন্দোলনে নেমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন বিমলা। অনীত থাপার বক্তব্য, ‘‘সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে জিএলপি

করা হয়েছিল। আবার প্রলোভনের রাজনীতি শুরু হচ্ছে৷ এটা এ বার চলবে না। আমরা তরুণ প্রজন্মকে মিথ্যা কথা বলা নেতাদের থেকে সাবধান করে দিচ্ছি। এসবের বিরুদ্ধে ৯ জানুয়ারি দার্জিলিঙের মতো কালিম্পঙেও পরিবর্তন যাত্রা করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement