মানিকচকে গৌরচন্দ্র। নিজস্ব চিত্র।
ন’দিনে সাত কর্মসূচি। সবই মালদহের মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রে। সে সবেরই উদ্বোধক মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। কোথাও কালীপুজোর উদ্বোধন, কোথাও নাম সংকীর্তনের আসরে যোগ দিচ্ছেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফাঁকে কোথাও খেলছেন ক্যারাম, কোথাও সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনছেন। দিঘা সফরের পরে গৌরের লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেই। যদিও তাতে আমল দিতে নারাজ গৌর।
১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কর্মসূচি। চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। গৌর ঘনিষ্ঠদের দাবি, সাতটি কর্মসূচির মধ্যে তিনটি কালীপুজোর উদ্বোধন, দুটি নাম সংকীর্তন, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন এবং একটি ক্লাবের ৫০ বছর পূর্তি অনু্ষ্ঠান রয়েছে। চারটি কর্মসূচি হয়ে গিয়েছে। বাকি কর্মসূচিগুলি পর পর রয়েছে। কর্মসূচির তালিকা তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারও করছেন গৌর ঘনিষ্ঠেরা।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, গৌর মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া। তবে ওই কেন্দ্রে গত নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। মানিকচক ব্লকের দলের দায়িত্বে রয়েছেন সাবিত্রীই।
দলের অন্দরমহলের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে গৌর পরিচিত রাজনৈতিক মহলে। দলের সঙ্গে শুভেন্দুর ‘দূরত্ব বাড়তেই’ গৌরের গতিবিধির উপরে নজর রাখতে শুরু করে তৃণমূল। কলকাতায় গৌরকে ডেকে কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। সেই বৈঠকেও গৌর মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।
এরই মধ্যে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সভার দিন জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ এবং ছ’জন সদস্যকে নিয়ে গৌর দিঘা সফরে যান বলে দাবি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের। এমন অবস্থায় গৌরের মানিকচকে লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে জল্পনা আরও জোরাল হচ্ছে। গৌর ঘনিষ্ঠদের দাবি, সভাধিপতি হিসেবে উৎসব অনুষ্ঠানে ডাক পাচ্ছেন তিনি। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “সভাধিপতি শুধু মানিকচকেরই নন, তিতি পুরো জেলারই।” গৌর বলেন, “এখানে রাজনৈতিক কোনও বিষয় নেই।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর বলেন, “আমরা কে, কী করছি দল সব কিছুর উপরেই নজর রাখছে।”