পাকড়াও: বাঘের চামড়া।নিজস্ব চিত্র
বারবার জায়গা বদল করছিল পাচারকারীরা। তাদের জন্য ওৎ পেতে বসেছিল উত্তরবঙ্গের বনবিভাগের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। শেষপর্যন্ত ক্রেতা সেজে ফাঁদের ফেলা হয় তাদের। উদ্ধার হয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের চামড়া ও হাড়। মঙ্গলবার রাতে ডুয়ার্সের হাসিমারা থেকে উদ্ধার হয় চামড়া, হাড়। ঘটনার গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। বুধবার আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পাচারের পিছনে আন্তজার্তিক চক্র রয়েছে বলে বনবিভাগের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
ধৃতরা হল নামগে ওয়াংদি ও ওয়াংবা। দু’জনেই ভুটানের বাসিন্দা। ওয়াংবা ভুটানের প্রাক্তন সৈনিক ছিলেন বলে দাবি বন দফতরের।
মঙ্গলবার রাতে সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে পাচারকারীদের খোঁজে হানা দেয় টাস্ক ফোর্স। হাসিমারায় ঘণ্টা তিনেক ওৎ পেতে বসেছিলেন টাস্ক ফোর্সের কর্মীরা। বাঘের চামড়ার ক্রেতা সেজে পাচারকারীদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাদের ঘিরে ফেলেন বনকর্মীরা। অভিযুক্তদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে উদ্ধার হয় হাড়। বনকর্তারা জানান, জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে নেপালের কাঠমান্ডুতে বিক্রির জন্য বাঘের চামড়া ও হাড় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাচারে যুক্ত আরও কয়েকজনের নাম জেরায় উঠে এসেছে বলে দাবি। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে বন দফতর। বনকর্তাদের প্রাথমিক অনুমান, পুজোর আগে অসমের কোনও জঙ্গল থেকে রয়্যাল বেঙ্গল বাঘটিকে গুলি করে মারা হয়েছে। চামড়ায় দু’টি গুলির চিহ্ন মিলেছে। মিলেছে ১১০টি হাড়। অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ধৃতদের ফাঁসানো হয়েছে।’’ স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘‘ভুটান সরকারকে জানানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’