পাচার: নম্বর প্লেটহীন গাড়িতে সীমান্ত পার। নিজস্ব চিত্র
ট্রাকের লম্বা লাইন। লাইন ভেঙে পিছন থেকে একেবারে সামনে হাজির পাথর বোঝায় এক লরি। বিএসএফ জওয়ান ট্রাক আটকাতেই এলো ফোন। তার পরেই অবাধে ওপার বাংলায় চলে গেল সেই ট্রাক। বছর দুয়েক আগের এই ঘটনা এখন মুখে মুখে ফিরছে মালদহের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র মহদিপুরে।
আমদানি-রফতানিকারকদের দাবি, ট্রাকের মালিক ছিলেন মুর্শিদাবাদের এনামুল হক। সিবিআই তদন্তে তার সঙ্গে যোগ মিলেছে বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের। লাইন ভেঙে পিছন থেকে ট্রাক সামনে আসার ঘটনাটি জলের মতো পরিষ্কার হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এক রফতানিকারী বলেন, “পাথরের গাড়ি নিয়ে সীমান্তে আমাদের সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়। অথচ, এনামুলের গাড়ি একদিনেই পৌঁছে যেত ওপারে। এখন সেই কারণ বোঝা যাচ্ছে।”
সিবিআই তদন্তে এনামুল হকের সঙ্গে বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের যোগসাজশের ঘটনাটি সামনে আসতেই মহদিপুরের মতো নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মালদহের সীমান্তে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-২০১৭ সতীশ ২০ এবং ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট ছিলেন। মালদহের দৌলতনগর এবং শোভাপুর-পারলালপুর সীমান্ত ২০ এবং ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধীনে ছিল। সেই সময় শুধু গরু পাচারই নয়, সীমান্তে দেদার জালনোট উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে। ওই সময় জেলায় দেড় হাজারেরও বেশি গরু উদ্ধার হয়েছে। ধরপাকড় থেকে শুরু করে শতাধিক মামলাও রয়েছে। ২০১৭ সালে প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা জালনোট উদ্ধার হয়েছে।
২০ এবং ৩৬ ব্যাটালিয়নের অধীনে দুটো সীমান্ত মালদহে থাকলেও বাকিগুলো ছিল মুর্শিদাবাদেই। অধিকাংশ সময়ই মুর্শিদাবাদের সীমন্ত চৌকিগুলিতেই থাকতেন সতীশ। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, সন্ধ্যের পরই সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যেত সীমান্তে। বিএসএফের এক কর্তা বলেন, “বর্ষার সময়ই জল সীমান্তকে কাজে লাগিয়ে গরু পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ভরা গঙ্গায় একসঙ্গে হাজার হাজার গরু ছেড়ে দেওয়া হয়। স্প্রিড বোট নিয়ে পিছু ধাওয়া করে কিছু গরু উদ্ধার করলেও বাকিগুলো চলেই যায়। তাই সীমান্তে পৌঁছানোর আগে রাস্তাতেই আটকাতে হবে গরু।” নিকাশি নিয়ে ইসলামপুরের মহকুমাশাসক অলিঙ্কৃতা পান্ডে বলেন, ‘‘অবরোধ হয়েছিল। তবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইসলামপুর শহরের নিকাশি নিয়ে ইসলামপুরের মহকুমাশাসক অলিঙ্কৃতা পান্ডে বলেন, ‘‘অবরোধ হয়েছিল। তবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইসলামপুর শহরের নিকাশি নিয়ে