হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ। — নিজস্ব চিত্র।
আবার গুলি চলল কোচবিহারের দিনহাটায়। তার জেরে জখম এক মহিলা-সহ দুই বিজেপি কর্মী। গিতালদহের ভাগ্নি পার্ট-১ বুথে ওই দুই বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ওই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
শনিবার গিতালদহ এলাকার ভাগ্নি পার্ট-১ বুথে চলছিল ভোটগ্রহণ। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের লোকজন গুলি চালায়। তাতে বিজেপির দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে গেরুয়াশিবিরের অভিযোগ। বিজেপি নেতাদের দাবি, ছাপ্পা দেওয়ার প্রতিবাদ করাতেই গুলি চালায় তৃণমূলের লোকজন। জখম দুই বিজেপি কর্মীর নাম রাধিকা বর্মণ এবং চিরঞ্জিৎ কারজি। রাধিকার বুকে এবং চিরঞ্জিতের পেটে গুলি লেগেছে। তাঁদের ভর্তি করানো হয়েছে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। যদিও ওই এলাকার বিজেপি নেতা জীবেশ বিশ্বাস দাবি করেছেন, ‘‘তিন জনকে গুলি করা হয়েছে। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। সেই সুযোগে ছাপ্পা চলছে। সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল।’’ বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিনহাটার তৃণমূল নেতারা। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বিজেপির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘দিনহাটার বিভিন্ন জায়গায় যেখানে বিজেপি প্রার্থীরা জিততে পারবে না সেখানে আমাদের প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। ব্যালট পেপার ছিঁড়ে, ব্যালট বক্স ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ভাগ্নি পার্ট-১-এর গুলিকাণ্ডের কারণ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। তৃণমূলের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।’’
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহার। ইতিমধ্যেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই জেলায়। ঘটেছে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও। শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর কোচবিহার দক্ষিণে মাধব বিশ্বাস নামে বিজেপির এক পোলিং এজেন্টকে বুথের ভিতরে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, দিনহাটা-১ ব্লকের কোয়ালিদহ পঞ্চায়েতের ৭/২৫৫ বুথের নির্দল প্রার্থী ভোলা বর্মণ-সহ তাঁর সমর্থকদের লক্ষ্য করেও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নির্দল প্রার্থীকে ভর্তি করানো হয়েছে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।