এই জলের ট্যাঙ্কে উঠেই ঘটে দুর্ঘটনা। — নিজস্ব চিত্র।
ট্রেলারের ট্যাঙ্কে কতটা জল আছে, তা মাপতে গিয়ে ঘটল দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক সেনা জওয়ানের। জখম আরও কয়েক জন। আহতরা ভর্তি নিকটবর্তী রেল হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেল এবং রেলপুলিশের আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ একটি সেনা ট্রেলার পৌঁছয় এনজেপি স্টেশনে। এক সেনা জওয়ান ট্রেলারে থাকা ট্যাঙ্কে কতটা জল আছে তা মাপতে ওঠেন। সেই সময়েই বিপত্তি ঘটে। ওভারহেড তার তিনি স্পর্শ করে ফেলেন। একই সঙ্গে, ৫-৬ সেনা জওয়ানও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে এক জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলপুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনীর আধিকারিকরা৷ স্টেশন চত্বর এবং হাসপাতাল ঘিরে ফেলেন সেনা কর্মীরা। রেলের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই ট্রেলারটি করে জওয়ানদের একটি ব্যাটালিয়ন অন্যত্র স্থানান্তরিত হচ্ছিল। এনজেপি স্টেশনে থামে ট্রেলারটি। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম মনীশ মেহতা (৩৪)।
এ নিয়ে উত্তর-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর বিশেষ ট্রেন এনজেপি স্টেশনের ৫ নম্বর লাইনে ঢুকেছিল। জওয়ান জলের পরিমাণ মাপতে গিয়ে ২৫ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ শকে আহত হন৷ এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিন জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা রেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷ তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ট্রেন যখন স্টেশনে ঢুকল তখন জওয়ানদের উচিত ছিল জলের প্রয়োজনীয়তার কথা স্টেশনকে জানানো। তা হলে স্টেশন থেকে তার ব্যবস্থা করা হত। প্রয়োজনে ট্রেনটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হত।’’