শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।
গত পাঁচ দশকের বেশি সময়ের রাজনীতি থেকে ব্যক্তিগত টুকরো টুকরো স্মৃতি ও ঘটনা লিপিবদ্ধ করে বই প্রকাশ করতে চান শহরের মেয়র গৌতম দেব। করোনার সংক্রমণের বছরের পর সেই ইচ্ছের কথা গৌতম জানালেও, বিভিন্ন কাজের ফাঁকে সময় হয়ে ওঠেনি। নতুন বছরের গোড়াতেই তাই ঠিক করেছেন, বইয়ের কাজে হাত দেবেন। কোনও আত্মজীবনী নয়, বিভিন্ন ঘটনা ও উপলব্ধি ঘিরেই প্রথম বই হবে মেয়রের।
সম্প্রতি জীবনের নানা স্মৃতি, গল্প, ঘটনা এক জোট করার কাজও ধীরে ধীরে শুরু করেছেন বলে জানান। গৌতমের কথায়, ‘‘আত্মজীবনী লেখার ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি সাধারণ মানুষ। ছাত্র হিসাবে রাজনীতি করে এসেছি। বিভিন্ন দায়িত্বে থেকেছি। ১৯৭৫ সালে বহু স্মৃতি, মানুষ, ঘটনার সাক্ষী থেকেছি। কিছু লেখা রয়েছে। একটা সরল, স্মৃতির পাতায় মোড়া বই তৈরির চেষ্টা করব বলে ঠিক করেছি। এ বার সেই কাজে হাত দেব।’’
কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের সফরে পুরসভার বিরোধী থেকে ছাত্রনেতা। দু’দফায় রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রী থেকে বর্তমানে শহরের মেয়রের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন গৌতম। ২০২৬ সালে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি আবার বিধানসভায় প্রার্থী হবেন তা ধরেই নেওয়া যায়। বাম জমানা থেকে ঘাসফুলের জমানায় পৌঁছনোর পথে পুলিশের লাঠির আঘাত, দু’দফায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি থেকেছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে তিনিই এক মাত্র দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গৌতম নিজের সেই সব স্মৃতির কিছু বইয়ের পাতায় তুলে আনতে চাইছেন।
শত ব্যস্ততার ফাঁকে অল্প অল্প করে কাজও শুরু করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বইটা লেখার ইচ্ছে অনেকদিন ধরেই মাথায় এসেছে। কাজের ফাঁকে সময় পাচ্ছি না ঠিকই। তবে এ বার কাজে হাত দেব বলে ঠিক করেছি। রাজনীতি, উন্নয়ন, ব্যক্তিগত জীবনের কিছু ঝলক সব থাকবে।’’
এর আগে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছিলেন গৌতম। তাতে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের কবিতা এবং গৌতমের কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীতের যুগলবন্দিতে অ্যালবামটি তৈরি হয়। করোনা প্রকোপের প্রথম দিকে ফেসবুক লাইভে মাঝে মাঝেই তাঁকে কেউ কেউ গানের অনুরোধ করতেন। দু’এক কলি রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে দিতেন তিনি। এ বার বইয়ে মন দিতে চান। গত পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে নিজের কিছু ভাল লাগার দিকও তিনি নথিবদ্ধ করে রেখে যেতে চান বলে মেয়র জানালেন।