siliguri municipality

পুরসভার জমি দখল করেছে রেল, অভিযোগ মেয়রের

মঙ্গলবার মেয়র সেখানে গেলে দেখেন, চারিদিকে ঘেরা দিয়ে স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসে বসেই পুর কমিশনার ও ডিসিপি জয় টুডুকে ফোন করেন।

Advertisement

শুভঙ্কর পাল , শান্তশ্রী মজুমদার

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ০৯:০৫
Share:

শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। — ফাইল চিত্র।

রেলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তিনবাতি মোড়ের আছে নির্মীয়মাণ বাসস্ট্যান্ডের সামনে রেলের বিরুদ্ধে পুরসভার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বাসস্ট্যান্ডের কাজ দেখতে গিয়ে দখলদারি নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তার নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র। তিনি জানিয়েছেন, রেলের এই কাজের বিরুদ্ধে নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিস্তারিত অভিযোগ করবেন তিনি। পুরসভার জমি দখল হলেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে পুর কমিশনারের ভূমিকায় প্রকাশ্যেই অসন্তোষ দেখান মেয়র। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে অবশ্য বলেন, ‘‘মেয়র চিঠি লিখতেই পারেন। কিন্তু রেল কখনওই রেলের জায়গা ছাড়া অন্য জায়গায় কোনও রকমের নির্মাণ করতে যায় না।’’

Advertisement

মেয়র জানান, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম এবং পুরসভা যৌথ ভাবে ওই বাসস্ট্যান্ডের কাজ করছে। পরিবহণ দফতর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী অর্থ দিয়েছেন। মেয়র বলেন, ‘‘জায়গার নথি আমাদের কাছে রয়েছে। এটা পুরসভার তথা রাজ্য সরকারের জায়গা। রেল তাদের কোনও এজেন্সিকে দিয়ে জায়গা দখল করছে। পুলিশ, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব। এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর সবাই মিলে আলোচনা করে নবান্নে তথা মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্তারিত জানাব। মুখ্যসচিবকেও বলব।’’

তিনবাতি মোড়ের কাছে বাসস্ট্যান্ডের সামনে জমি নিয়ে রেল ও পুরসভার মধ্যে কয়েক বছর ধরেই ঝামেলা চলছে। পুরসভার ‘আর্থমুভার’ যন্ত্র আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল আরপিএফের বিরুদ্ধে। রেল দাবি করেছিল, ওই জমি তাদের। মেয়রের দাবি, সমীক্ষার পরে দেখা যায়, সে জমি রেলের নয়। দখল করে রাখা ওই জমি পুরসভার। প্রস্তাবিত বাসস্ট্যান্ডে ঢোকার মুখে জমি ‘দখল’ হয়েছে দেখে, মাস খানেক আগে আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। মঙ্গলবার মেয়র সেখানে গেলে দেখেন, চারিদিকে ঘেরা দিয়ে স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসে বসেই পুর কমিশনার ও ডিসিপি জয় টুডুকে ফোন করেন।

Advertisement

পুর কমিশনার সোনাম ওয়াংদি ভুটিয়াকে ফোন করে মেয়র বলেন, “আপনারা ঠান্ডা ঘরে বসে থাকবেন। আর আমাকে রাস্তায় নেমে কাজ করতে হচ্ছে।” জানতে চান, বহুদিন ধরেই দখলদারি আটকাতে বলা হলেও কেন তিনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁকে এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দেন মেয়র।

শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘মেয়র দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। এ রকম অযৌক্তিক কথা কী করে বলছেন জানি না! মেয়র রেলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে নিলেই পারেন। তাঁর কথায় মনে হচ্ছে, রেলের সঙ্গে কথা না বলেই বলছেন। রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ করা হলে, আমাদেরও এর পর বলতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement