মেয়র গৌতম দেব। — ফাইল চিত্র।
রেলের টাকায় তৈরি শিলিগুড়ির মহাবীরস্থান উড়ালপুলটি দ্রুত সংস্কারের জন্য ‘শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এসজেডিএ)-কে চিঠি দিচ্ছে পুরসভা। প্রয়োজনে অনুমতি নিয়ে নিজেরাই কাজ করার কথাও ভাবছে পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, মেয়র গৌতম দেব বুধবার বিষয়টি নিয়ে পুর কমিশনার এবং পুর সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের এসজেডিএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। মেয়র বলেন, ‘‘উড়ালপুলটি তৈরির জন্য রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দেন। এসজেডিএ-কে কাজটি করানোর কথা বলা হয়। উড়ালপুলের এমন পরিস্থিতি তো থাকতে পারে না। এসজেডিএ নিশ্চয়ই সংস্কারের কাজ করবে। তার আগে, প্রয়োজনে, আমরাও কাজ করতে পারি।’’
শহরের দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস উড়ালপুলের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উড়ালপুলের নীচের অংশের দেওয়াল জুড়ে হকার্স কর্নার, নিবেদিতা মার্কেট, রেলগেট এবং আনাজ বাজারের পাশের দিকে একাধিক বট গাছ গজিয়ে উঠেছে। সেতুর কংক্রিটে ফাটলও ধরেছে। বর্ষার মরসুমে বট গাছগুলি বড় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দারা উড়ালপুলটির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। বাস্তুকারেরা জানান, উড়ালপুলের কংক্রিটের একাংশ ফাটিয়ে গাছের শিকড় ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় রীতিমতো বড় মাপের গাছ হয়েছে। উড়ালপুলের দেওয়ালের লোহার, কংক্রিটও নষ্ট হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের পর উড়ালপুলটির কোনও সংস্কার হয়নি অভিযোগ। তার আগে এক দফায় শুধু নীল-সাদা রং করা হয়েছে।
বিষয়টি শুনে বর্ষার পরে সংস্কারের কথা বলেছেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। তবে শহরের একেবারে মধ্যে উড়ালপুলের এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন মেয়র। তিনি জানান, উড়ালপুলটি বাম আমলে হলেও তৎকালীন রেলমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই সম্ভব হয়েছে। পরে, ‘রাইট্স’ নামে সংস্থাকে গিয়ে সমীক্ষাও করানো হয়েছিল। মহাবীরস্থান উড়ালপুলের একটি অংশ ‘যথাযথ’ ভাবে হয়নি বলে ধরাও পড়ে। এখন সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, বর্ধমান রোডের উড়ালপুলের কাজও নতুন করে শুরু হয়েছে। সেখানেও অনেক টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে মেয়র জানান।