প্রতীকী ছবি
সেনাবাহিনীর জন্য যে আলাদা এয়ারস্পেস বা নির্ধারিত আকাশপথ ছিল এত দিন, এ বারে সেই আকাশে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে ভারী শিল্প, কয়লার মতো নানা ক্ষেত্রের সঙ্গে বিমান যোগাযোগের উল্লেখ করেছেন। তাতে দেশের বাছাই করা বিমানবন্দরের পরিকাঠামো বাড়ানোর প্রসঙ্গও রয়েছে। এতে দেশের আর দশটা প্রান্তের মতো আশার আলো দেখছে উত্তরবঙ্গও।
বিশেষ করে, বাগডোগরা বিমানবন্দরকে ঘিরে যে সংস্কার, সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের প্রকল্প তৈরি হয়েছে, তা গতি পেতে পারে বলে আশাবাদী এএআই-এর আধিকারিকদের একাংশ। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সামরিক আকাশপথ ব্যবহার করে বাণিজ্যিক বিমান চললে দু’টি গন্তব্যের মধ্যে সময় কম লাগবে। তাতে বিমানের জ্বালানি সাশ্রয় হবে। টিকিটের দাম তো কমবেই, পরিবেশ দূষণও কমবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করা হলে অবশ্যই নানা গন্তব্যের দিক থেকে বাগডোগরা উপকৃত হবে। এএআই-এর এক কর্তা জানান, দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দরাবাদের মতো একাধিক শহরের সঙ্গে বাগডোগরার সরাসরি বিমান যোগাযোগ আছে। টিকিটের দামের প্রভাব পড়লে তার সুফল বাগডোগরা পাবেই।
রেল বন্ধ, সেতু ভেঙে পড়া, বন্যা বা বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে, অন্য পরিবহণ মাধ্যম বন্ধ হলে বিমানের টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া হয়। সেখানে নতুন আকাশপথের জন্য কিছুটা হলেও আগে থেকে টিকিটের দাম কমবে বলে বিমানবন্দরের অফিসারেরা মনে করছেন।
তবে এর লাভ বিমান সংস্থাগুলি কী ভাবে পাবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরগুলির পরিকাঠামো উন্নতির কথা বলায় ঝুলে থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এবার দ্রুত হতে পারে বলে এএআই অফিসারেরা মনে করছেন। তাঁরা মনে করছেন, এমনিতেই বাগডোগরা বিমানবন্দর সামরিক বিমানবন্দর। তাতে বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ থেকে রানওয়ে মেরামত, সময়সীমা বাড়ানো— সবের জন্য অনুমতি প্রয়োজন হয়। এ দিনের অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় বোঝা গিয়েছে, সামরিক নিয়ন্ত্রণকে বিমান চলাচলের জন্য বা পরিকাঠামো দিক থেকে অনেকটাই শিথিল করা হল। যা বাগাডোরার মতো সামরিক নিয়ন্ত্রাধীণ বিমানবন্দরের জন্য আগামী দিনের রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হওয়ার পথে রইল।