ভোটের লড়াইয়ে সবার নজরেই ১৫ নম্বর ওয়ার্ড

রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়ি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সেটি এ বার মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:১৩
Share:

শিলিগুড়ি পুরসভা।

পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৪৭টি। কিন্তু সব দলের নজর যেন আটকে রয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডটিতেই। পুরভোটের আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে এসেছে ওই ওয়ার্ড। ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর অরবিন্দ ঘোষ মারা যাওয়ার পরে আর ভোট হয়নি। দুই নম্বর বরোর তরফে দেখভাল করা হতো ওয়ার্ডটিতে। এ বার পুরভোট কাছে আসতেই প্রায় প্রতিটি দলের নজরে পড়েছে ওই ওয়ার্ডে।

Advertisement

রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়ি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সেটি এ বার মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। গতবারও ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত ছিল। সেবার গৌতমের স্ত্রী শুক্লাদেবী ভোটে লড়ে জেতেন। মন্ত্রী ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দলনেত্রী ভোটে লড়ার পরিবর্তে তাঁকে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিলে তিনি ভোটের ময়দান থেকে সরে আসেন। এ বার পুরভোটে গৌতমের দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাঁকে সামনে রেখে পুরভোটে নামতে পারে তৃণমূল। ১৭ নম্বর এ বারও মহিলা সংরক্ষিত থাকায় আপাতত মন্ত্রীর বাছাই করা ৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫ নম্বর অন্যতম।

দল সূত্রে খবর, ওই ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর অরবিন্দ ঘোষ নির্দল হিসাবে জিতলেও গৌতমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। একসময় তিনি মন্ত্রীর ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেখাশুনো করতেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডটি মন্ত্রীও হাতের তালুর মত চেনেন। পরে অরবিন্দ ঘোষের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ বাড়ায় কিছুটা সরে এলেও তাঁর মৃত্যুর পরে গৌতম ফের ওয়ার্ডটিতে ব্যক্তিগতভাবে নজর দেন। তাই এ বার ওই ওয়ার্ডে তাঁর দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। যদিও ৩৩ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডেও মন্ত্রীর দাঁড়ানো নিয়ে কথাবার্তা চলছে। গৌতমের কথায়, ‘‘আমি ভোটে লড়াই করব কি না সবই নেতৃত্ব ঠিক করবেন। শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডের লোকজন, সমস্যা আমার জানা, দেখা। এরমধ্যে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডও রয়েছে।’’

Advertisement

এ বার শিলিগুড়ির ভোটে তৃণমূলের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ময়দানে নামছে বাম-কংগ্রেস জোট। এখনও জোট চূড়ান্ত না হলেও বহু আসনেই দুই দল সহমতে পৌঁছে গিয়েছে। ফ্রন্ট সূত্রের খবর, বাম-কংগ্রেস জোটের আলোচনার জট আটকেছে এই ১৫ নম্বর

আসনেই। ফ্রন্ট শরিক সিপিআই বরাবর আসনটিতে লড়াই করে। এ বার তাদের থেকে আসন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক সুবীন ভৌমিককে জোট প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করাতে চায় কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, তিনি প্রার্থী হলে বিরোধী দলের বেশ কিছু ভোটও সুবীনের বাক্সে চলে আসবে।

পিছিয়ে নেই বিজেপিও। জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহার বাড়ি ওই এলাকায়। গতবারও তিনি এই ওয়ার্ড থেকে লড়েছিলেন। এ বারও বিজেপির এই তরুণ নেতা ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই দাঁড়াবেন বলে আপাতত ঠিক হয়ে রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement