—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের বেশি কিছু এলাকার মতো জাল, নিম্নমানের ওষুধ ঢুকছে শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের বাজারে। অভিযোগ, অনেক সময় বড় কোম্পানির পরিচিত ব্র্যান্ডের ওষুধ নকল করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। কিছু ওষুধের গুণমান এবং তৈরির উপাদান যথাযথ কি না, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম ওষুধের কারবার শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করেই। ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের তরফে তাই তৎপরতা শুরু হয়েছে। ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। তার মধ্যে বুধবারই খবর পেয়ে এক শিলিগুড়ি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক ওষুধ বিক্রেতার গুদামে হানা দিয়ে পুলিশ বেশ কিছু ওষুধ, মাদক ট্যাবলেট, কাফ সিরাপ আটক করেছে পুলিশ। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিয়মমাফিক ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের তরফে পুলিশে সহায়তা নিয়ে অভিযান করার কথা। ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। রাজ্যে একমাত্র ল্যাবরেটরি কলকাতায়। সে কারণে নমুনা পরীক্ষার জন্য সেখানেই পাঠাতে হয়। রিপোর্ট দেখেই স্পষ্ট হয়, জাল ওষুধ কি না। প্রমাণ মিললে, সে মতো ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের তরফে লাইসেন্স বাতিল করা হয়। পুলিশে অভিযোগ করা হয়। আদালতে পাঠানো হয় প্রয়োজন মতো শাস্তির ব্যবস্থা করতে। রাজ্যের বাইরের কোম্পানি হলে সেখানকার সরকারকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। শিলিগুড়ি ড্রাগ কন্ট্রোল জ়োনের সহকারী অধিকর্তা জয়দেব সান্যাল বলেন, ‘‘খবর পেলেই আমরা অভিযান করছি। বিভিন্ন জায়গাতেই এ ধরনের জাল ওষুধে চক্র সক্রিয় রয়েছে। নিয়মিত নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে, প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শিলিগুড়ির ওষুধ ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানান, যে ভাবে জাল ওষুধের চক্র সক্রিয়, তাতে তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বহুল-ব্যবহৃত সর্দি, জ্বর, গ্যাসের সমস্যার ওষুধ থেকে শুরু করে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের ক্ষেত্রেও মান নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ‘শিলিগুড়ি বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক বিজয় গুপ্ত বলেন, ‘‘জাল ওষুধ নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন এবং সজাগ রয়েছি। শীঘ্রই অভিযান চালিয়ে মানুষকে সচেতন করা হবে। ব্যবসায়ীদেরও আমরা সর্তক থাকতে বলেছি। ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ যাতে পর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ করে সব দিক খতিয়ে দেখে, সে জন্য আমরা তাদের অনুরোধ করছি।’’