Flight Service

সিকিম থেকে কলকাতা, গুয়াহাটির বিমান মার্চেই

সব ঠিকঠাক থাকলে ২৯ মার্চ বা ৩০ মার্চ থেকে পরিষেবা প্রতিদিন চালু হয়ে যাবে। সিকিম সরকারকেও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩
Share:

পাকিয়ং বিমানবন্দর। —নিজস্ব চিত্র।

নতুন করে সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দর থেকে ফের চালু হতে চলেছে বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা। চলতি সপ্তাহেই ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র (এএআই) তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা এবং গুয়াহাটির সঙ্গে পাকিয়ং পর্যন্ত বিমান পরিষেবা চালু হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে ২৯ মার্চ বা ৩০ মার্চ থেকে পরিষেবা প্রতিদিন চালু হয়ে যাবে। সিকিম সরকারকেও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ১০ মাস ধরে পাকিয়ং থেকে বিমান পরিষেবা নানা কারণে বন্ধ ছিল।

Advertisement

পাকিয়ং বিমানবন্দরের অধিকর্তা সঞ্জীব কুমার সিংহ বলেছেন, ‘‘আপাতত কলকাতা এবং গুয়াহাটির বিমান পাকিয়ং বিমানবন্দর থেকে চালু হচ্ছে। সূচি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।’’ তিনি জানান, একটি বিমান সংস্থাই বিমানগুলি চালাচ্ছে। বুকিংও চালু হয়েছে। বিমানবন্দরের কিছু সৌন্দর্য্যকরণের কাজ করানো হচ্ছে।

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, আপাতত এএআই কর্তৃপক্ষের তৈরি সূচি অনুযায়ী কলকাতা থেকে পার্কিয়ংয়ে সকাল ১১টা নাগাদ বিমানটি পৌঁছবে। এর পর ১২টা নাগাদ পাকিয়ং থেকে সেই বিমান গুয়াহাটিতে যাবে। সে দিনই দুপুর আড়াইটে নাগাদ বিমানটি গুয়াহাটি থেকে ফের পাকিয়ংয়ে পৌঁছবে। বেলা ৩টে নাগাদ পাকিয়ং থেকে বিমানটি কলকাতায় রওনা দেবে। সপ্তাহের প্রতিদিন বিমানটি চলবে বলে আপাতত ঠিক হয়েছে। গরমের পর্যটন মরসুমের কথা ভেবে সকালে কলকাতা থেকে সরাসরি সিকিম এবং বিকেল নাগাদ সিকিম থেকে সোজা কলকাতার বিমানের চাহিদা থাকবে বলেই ধরা হয়েছে।

Advertisement

এর বাইরে দিল্লি, হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরুর বিমানও পাকিয়ং থেকে চালু করা নিয়ে একাধিক বিমান সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। শীতের মরসুম মার্চ মাস শুরুর পর পর শেষ হবে। তাতে দিনের আলো ধীরে ধীরে বাড়বে। সেই হিসেবে মার্চের শেষ থেকেই বিমান নতুন করে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিকিমে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিয়ং বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন। সামরিক ব্যবহারের পাশাপাশি বাণিজ্যিক বিমান চালুর কথাও ঘোষণা করা হয়। পরের অক্টোবর মাস থেকে বিমান চালু হয়। কিন্তু উড়ান চালুর পর পরই বন্ধ হয়ে যায় পরিষেবা। বিমান ওঠানামার জন্য দৃশ্যমানতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলো নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। পাহাড়ে আবহাওয়া যখন তখন খারাপ হয়। সেখান থেকে দুপুরের পরে বিমান পাকিয়ং থেকে চালানো যাচ্ছিল না। পরে এএআই-এর তরফে বিশেষজ্ঞ দল সিকিমে নানা প্রযুক্তির ব্যবস্থা করেন।

দিল্লি, কলকাতার বিমান পরিষেবা দুই দফায় চালু হলেও নানা কারণে তা ফের বন্ধ হয়ে যায়। পাহাড়ের মাথায় প্রায় ২০০ একর জমিতে পাকিয়ং বিমানবন্দরটি অবস্থিত। গ্যাংটক থেকে পাকিয়ংয়ের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটারের মতো। বিমানবন্দরটি প্রায় ৪৬৪৬ ফুট উচ্চতায় রয়েছে। এএআই-র কয়েক জন আধিকারিক জানান, প্রতি বছর গরমে বিমানবন্দর চালু হলেও পরে ফের বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যাত্রী ভাল হলেও দৃশ্যমানতার বিষয় থেকেই যায়। প্রায় সারা বছরই যাতে বিমানবন্দরটি চালু থাকে, সে দিকে নজর দেওয়া দরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement