প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সরকারের কড়া বার্তার পরেও বন্ধের দিন যাঁরা স্কুলে গরহাজির ছিলেন, উত্তর দিনাজপুরে প্রায় ৫০০ জন এমন প্রাথমিক শিক্ষককে শো-কজ় নোটিস ধরাল জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার চোপড়া, ইসলামপুর, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার-সহ বিভিন্ন সার্কেল মিলিয়ে মোট ৪৯৭ জন শিক্ষককে শো-কজ় নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এখন তাঁদের জবাব আসা শুরু হয়েছে। সেই জবাবে প্রশাসন সন্তুষ্ট না হলে নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হবে। জেলার স্কুল পরিদর্শক দুলাল সরকার বলেন, ‘‘৯ মার্চ আমাদের কাছে নির্দেশিকা আসে। জানানো হয়, বন্ধের দিনে সকলকেই অফিসে আসতে হবে। তা সত্ত্বেও অনেকেই ওই দিন অফিসে আসেননি। এর পরেই নির্দেশিকা মেনে আমরা শো-কজ নোটিস পাঠাই।’’
গত ১০ মার্চ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি। ঠিক তার আগের দিন রাজ্য সরকারের তরফে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে জানানো হয়, ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত কর্মচারীদের লিখিত ভাবে জানাতে হবে, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না। সন্তোষজনক উত্তর না এলে পদক্ষেপ করা হবে। উপযুক্ত কারণ ছাড়া গরহাজির থাকলে এক দিনের বেতন, এমনকি, চাকরিজীবনের এক দিন বাদ যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে ‘ব্রেক ইন সার্ভিসের’ কথাও বলে রাজ্যের অর্থ দফতর।