—প্রতীকী চিত্র।
এক জেলায় বিদায়ী জেলা সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতির নাম রইল না জেলা পরিষদের জন্য তৃণমূল ঘোষিত প্রার্থী তালিকায়। অন্য জেলায় শাসক দলের প্রার্থীতালিকায় বিদায়ী সভাধিপতির নাম নেই। সহ-সভাধিপতির নাম থাকল, তবে অন্য আসনে। মঙ্গলবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের পরিস্থিতি।
কোচবিহারে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়লেন জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি। নাম বাদ পড়ল প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে পঙ্কজের নামও। মঙ্গলবার তৃণমূলের কোচবিহার জেলা অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই তালিকা ঘোষণা করেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। অভিজিৎ জানান, জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে ৩৩টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হল। বাকি এক জনের নাম পরে ঘোষণা হবে।
অভিজিৎ বলেন, ‘‘সভাধিপতি ভোটে দাঁড়াতে চাননি। আবার সংরক্ষণের জেরেও কারও নাম বাদ গিয়েছে। রাজনীতির বাইরেও যাঁরা সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরও প্রার্থী করা হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীদের নামও চূড়ান্ত হয়েছে। রাতেই তা ঘোষণা করা হবে।
বিদায়ী সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণ বলেন, ‘‘আমি অসুস্থ। অনেক দিন কাজ করেছি। এ বার বিশ্রাম নিতে চাই।’’ পঙ্কজ ঘোষকে ফোনে পাওয়া যায়নি। রবীন্দ্রনাথও ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। বিদায়ী সহ-সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া বলেন, ‘‘কী কারণে আমাকে বাদ দেওয়া হল, জানি না!’’
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে ১৮টি আসনের মধ্যে ১৪টিতে নতুন মুখ এনেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বারের ভোটে না দাঁড়ানোর কথা আগেই জানিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি শীলা দাস সরকার। ফলে, তাঁর নাম নেই। প্রার্থী হচ্ছেন বিদায়ী সহ-সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে। সংরক্ষণের কারণে তাঁর আসনটি অবশ্য বদল করেছে দল। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকায় বড় চমক জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। গত বিধানসভা ভোটের পরে তৎকালীন বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ তৃণমূলে যোগ দেন। জেলা পরিষদের ৬ নম্বর আসনে তাঁকে দাঁড় করাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “যোগ্যতার ভিত্তিতেই প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছে দল।”