কালিম্পং মর্গান হাউস৷
আগামী পুজোর আগেই রাজ্যের একাধিক সরকারি অতিথি নিবাস নতুন করে ঢেলে সাজার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। রাজ্য পর্যটন দফতরের তরফে উত্তরবঙ্গের ছ’টি অতিথি নিবাস সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ হয়েছে কার্শিয়াং টুরিস্ট লজের জন্য। তার পরেই রয়েছে কালিম্পংয়ের মর্গান হাউস। গরমে পর্যটন মরসুমের আগেই তোড়জোর শুরু হয়েছে। তবে বাদ সাধতে পারে লোকসভা ভোট। সে কথা মাথায় রেখেই টেন্ডার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজের সূচনার চেষ্টা চলছে।
রাজ্য পর্যটন দফতরের এক সচিবের কথায়, ‘‘অতিথি নিবাসগুলির চাহিদা আকাশছোঁয়া। এই মরসুমেও ভরা বুকিং থাকছে। কিন্তু সেগুলির বেশিরভাগেরই সংস্কারের প্রয়োজন। বিশেষ করে বাইরের অংশ, আসবাব, মেঝে, শৌচালয়ের কাজ করানো দরকার।’’ তিনি জানান, শুধু পর্যটক নয়, বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থার তরফেও একাধিক সাড়া ও পরামর্শ এসেছিল। সেগুলি দেখার পরে, পর্যটন উন্নয়ন নিগম কাজগুলিতে হাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির মৈনাক অতিথি নিবাসের মূল গেট, নিকাশির জন্য আপাতত ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দার্জিলিং টুরিস্ট লজের জন্য বরাদ্দ ২৮ লক্ষ টাকা, জলপাইগুড়ি তিলোত্তমা পর্যটন কেন্দ্রের জন্য চার লক্ষ, গজলডোবার ‘ভোরের আলো’য় কটেজ সংস্কার এবং বিদ্যুতের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। এর বাইরে, কার্শিয়াংয়ের জন্য দু’কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা এবং কালিম্পংয়ের মর্গান হাউসের জন্য বরাদ্দ দেড় কোটি টাকার মতো।
দফতরের আধিকারিকদের দাবি, মর্গান হাউস অতিথি নিবাসকে ভাল ভাবে সাজানো হচ্ছে। শুধু সাধারণ বুকিং নয়, দু’টি অতিথি নিবাসকে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এর জন্য লোকজন বুকিং করছেন। ভাল চাহিদা তৈরি হয়েছে কালিম্পং হিলটপ অতিথি নিবাসেরও। কার্শিয়াংয়ে ঘরের চাহিদা নিয়মিত বাড়ছে। পর পর প্রশাসনিক বৈঠকে তা সামনে এসেছে। সেই সঙ্গে একাধিক বেসরকারি হোটেল, রিসর্ট কার্শিয়াংয়ে তৈরি হয়েছে। নতুন করে কিছু পর্যটন প্রকল্পের কথাবার্তা চলছে। সেখানে তাই সরকারি অতিথি নিবাসটিকেও নতুন করে সাজিয়ে তোলার কথা ভাবা হয়েছে।
পর্যটন দফতরের বাস্তুকারদের একাংশ জানান, কলকাতা থেকেই এখন সমস্ত কাজের টেন্ডার-প্রক্রিয়া হয়েছে। অতিথি নিবাসগুলির সংস্কার নিয়মিত করা দরকার। তেমনই দরকার রাজ্য পর্যটনের প্রচার, ‘প্রোমোশন’ বা ‘ব্র্যান্ডিং’, যা অন্য রাজ্যগুলি করছে।