শীতে কোয়াসার চাদরে ঢাকা ময়নাগুড়ির জাতীয় সড়ক। ছবি দীপঙ্কর ঘটক।
প্রবল ঠান্ডায় নামতে থাকা পারদ শনিবার এক সারিতে আনে পাহাড়ের কালিম্পং ও সমতলের জলপাইগুড়ি জেলাকে। মরশুমের প্রথম শীতলতম দিন পায় উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ জেলা। রবিবারও পরিস্থিতি বদলাল না। নতুন করে তাপমাত্রা নেমে ফের মরসুমের শীতলতম হওয়ার রেকর্ড গড়ল শিলিগুড়ি, কালিম্পং, মালদহ এবং রায়গঞ্জ। কয়েক দিন পর এ দিন রোদের দেখা মিলেছে তরাইয়ের পাঁচটি জেলায়। যদিও, তাতে ঠান্ডার অনুভূতি একেবারেই কমেনি। সঙ্গে কুয়াশার দাপট তীব্র ভাবে বজায় ছিল সব জেলাতেই।
রবিবার তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামবে বলে শনিবারই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এ দিন শিলিগুড়ির তাপমাত্রা প্রায় দেড় ডিগ্রির বেশি নেমে যায়। সারাদিন রোদ থাকলেও কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি ছিল শহরে। তাপমাত্রা এক ডিগ্রির কাছাকাছি নেমেছে মালদহে। তবে রোদের দেখা মেলেনি, সঙ্গে ছিল কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের দাপট। কার্যত ঘরবন্দি হয়েছিলেন মানুষ। একই পরিস্থিতি ছিল গৌড়বঙ্গের দুই জেলা উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে। রোদের দেখা মেলেনি। এ দিন বালুরঘাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা না নামলেও, রায়গঞ্জের তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রি নামে। কালিম্পঙে নামে ০.৩ ডিগ্রি।
পারদ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। কোচবিহার সামান্য বেড়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাই ঠান্ডা বাতাস এবং কুয়াশার হাত থেকে বাঁচেনি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকে ঝঞ্ঝার প্রভাবে পাহাড়ের তুষারপাত এবং সমতলে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’’ দার্জিলিংয়ের আশপাশে তুষারপাতের ইঙ্গিত দিয়েছেন আধিকারিকরা। তাঁরা জানান, এ বারের ঝঞ্ঝার ঝাপটা শক্তিশালী। সান্দাকফু এবং সিকিমের পাহাড়ে তুষারপাত হবে। দার্জিলিং শহরের আশপাশের উচু এলাকাগুলিতেও তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে।
সমতলে কুয়াশার দাপট কয়েক দিন ধরেই চলছে। পরিচালন পদ্ধতিতে উত্তর-পশ্চিম ভারতের কুয়াশা এসে পড়ছে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত। সঙ্গে কখনও তৈরি হচ্ছে ঝিরঝিরে বাতাস। এই পরিস্থিতি আরও অন্তত এক দিন বজায় থাকবে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা। ঝঞ্ঝা ঢুকে পড়লে কুয়াশা কমে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে। উত্তরবঙ্গে ভোরবেলা এবং সন্ধের পর কোথাও কোথাও প্রবল কুয়াশার আবরণ তৈরি হচ্ছে।