অনলাইনে ধান কেনা বাড়ছে

গোড়ায় ধীরে চললেও, শেষ পর্যন্ত অনলাইন পদ্ধতিতে ধান কেনা সাফল্য পাচ্ছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।বুধবার কোচবিহারে এসে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৪৮
Share:

সন্তোষ: বৈঠক শেষে খুশি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নিজস্ব চিত্র

গোড়ায় ধীরে চললেও, শেষ পর্যন্ত অনলাইন পদ্ধতিতে ধান কেনা সাফল্য পাচ্ছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

বুধবার কোচবিহারে এসে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকের পর তিনি জানান, গোটা রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩৪ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। কোচবিহারে ৮২ হাজার মেট্রিক টনের উপরে ধান কেনা হয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রথম দিকে কিছুটা সমস্যা হলেও পরের দিকে ধান কেনায় গতি এসেছে। যে কোনও নতুন জিনিস করতে গেলে প্রথম দিকে একটু সমস্যা হয়। তা কেটে গিয়েছে।” তাঁর দাবি, গত বছরের তুলনায় এ বারে তাঁরা বেশি ধান কিনতে সক্ষম হবেন। গত বছর ৩৯ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছিল সরকার। এবারে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ধান কিনবে সরকার। সে ক্ষেত্রে তাঁদের আশা ওই পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে যাবে।

Advertisement

পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, কোচবিহারে নতুন করে ৮টি রাইস মিল তৈরি করা হবে। সে ক্ষেত্রে সরকার তফসিলি জাতি, উপজাতি এলাকায় ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে। অন্য এলাকায় ওই ভর্তুকি হবে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে কোচবিহারে ৮ টি রাইস মিল আছে। কোচবিহারের ধানের কিছুটা অংশ এখন অসমে যায়। মন্ত্রী বলেন, “যা অবস্থা তাতে রাইস মিলের সংখ্যা বাড়ানো খুব দরকার। ইতিমধ্যে তিন জন সে ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এক বছরের মধ্যে ওই রাইস মিল করা হবে।” এ দিনের মিটিঙে আধিকারিকরা ছাড়াও সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, বিধায়ক হিতেন বর্মন উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement