প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। —ফাইল চিত্র।
এর আগেই জীবন সিংহ তাঁর এবং আরও কয়েক জন তৃণমূল নেতার নাম করে ভিডিয়ো বার্তায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পুলিশ-প্রশাসনের একটি অংশের দাবি, সম্প্রতি ফের কেএলও নেতা ও সদস্যদের আলোচনায় উঠে এসেছে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের নাম।
তাই জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থেকেই তাঁর দেহরক্ষীর সংখ্যা সম্প্রতি দু’জন থেকে বাড়িয়ে তিন জন করা হয়েছে, খবর পুলিশ সূত্রে। তাঁর কনভয়েও বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যা। পার্থপ্রতিমের আবাসনের চারদিকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আবাসনে কারা যাতায়াতে করছেন, সে দিকে নজর রাখা হবে। সেই সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বয়স্ক পুলিশ কর্মীদের সরিয়ে কম বয়সীদের দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের হাতেই থাকবে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। পার্থপ্রতিমের বাড়িতেও একটি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়। যেখানে পাঁচ জন পুলিশ কর্মী ছাড়াও তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ার রয়েছেন।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “আগে থেকেই ওঁর নিরাপত্তারক্ষী ছিল। সেখানেই কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয়েছে।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “কেএলও হুমকি আগেই ছিল, তাই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”
পার্থপ্রতিম অবশ্য ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি তৃণমূলের তরুণ রাজবংশী মুখ হিসেবে পরিচিত। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে ও পরে কেএলও প্রধান জীবন সিংহ প্রথমে আলাদা রাজ্য এবং পরে আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে সরব হন। সেই সময়ে পার্থ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মণের মতো তৃণমূল নেতারা জীবনের বিরুদ্ধে সরব হন। তখন তাঁদের হুঁশিয়ার করে বার্তা দেন জীবন। এই নিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরের সময়ে পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক হতেও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর গোয়েন্দারা সতর্কতা আরও বাড়িয়েছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, এর পরেই জীবনের সঙ্গে কেএলও সদস্যদের কথাবার্তায় পার্থ নাম শোনা যায়। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, উদয়ন গুহের রেকর্ড ভোটে জয়ের পরে এই অঞ্চলে তৃণমূলের শক্তি বেড়েছে। পার্থ দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং উদয়নের ঘনিষ্ঠ। তাঁর প্রভাব বৃদ্ধিও স্বাভাবিক। তাই এমন হুঁশিয়ারি। পার্থপ্রতিম কোচবিহার শহরের মন্দারমোড় এলাকায় একটি আবাসনে থাকেন, সেখানে অফিসও রয়েছে। এ ছাড়াও জিরানপুরে গ্রামের বাড়ি। সেখানেও নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে।