শঙ্কর ঘোষ।
ফের ভাটনগর পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় উঠে এল শিলিগুড়ির নাম। এ বারও পুরস্কার প্রাপক শিলিগুড়ি কলেজেরই প্রাক্তনী শঙ্কর ঘোষ। তিনি শিলিগুড়ির বাবুপাড়ার বাসিন্দা। ১৯৯৬ সালে এই কলেজ থেকেই পাশ করেছিলেন। তারপরে যান দিল্লির জেএনইউ-তে। সেখান থেকে হায়দরাবাদে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সে গবেষণা। এ বছর পদার্থবিদ্যায় বিশেষ অবদানের জন্য শঙ্করকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ির বাবুপাড়ার বাসিন্দা শঙ্কর শিলিগুড়ি কলেজ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক, ছাত্রদের অনেকের কাছেই পরিচিত নাম। শিলিগুড়ি কলেজের পদার্থবিদ্যার প্রবীণ অধ্যাপক বিধানচন্দ্র রায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। বিধানবাবু শিলিগুড়ি কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান ছিলেন। তাঁর ছাত্র শঙ্কর। বিধানবাবু বলেন, ‘‘আমাদের অনেকের সাথেই ওঁর ভাল যোগাযোগ রয়েছে। তিনি শিলিগুড়ি এলেই দেখা হয়, কথা হয়। ও এখন মুম্বইতে থাকে। সেখানে টাটা ইন্সটিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে কর্মরত। বেঙ্গালুরুতে তাদের একটি শাখা খোলার কথা ছিল, সেইমত উনি বেঙ্গালুরুতে চলে আসবেন বলে জানিয়েছিল। ওঁর এই সম্মানে আমরা সকলেই গর্বিত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘১৯৯৩ সালে কলেজে ভর্তি হন শঙ্কর। কোনও বিষয় পড়ানো হলে নিজের মতো করে খাতায় লিখে আমায় দেখিয়ে নিত।’’
গতবছরই শিলিগুড়ি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র পার্থসারথি চক্রবর্তী রসায়নে অবদানের জন্য শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পান। এ বছর ফের কলেজেরই অপর প্রাক্তনী সেই সম্মান পাওয়ায় হইচই পড়েছে। খুশির হাওয়া কলেজের ছাত্র এবং অধ্যাপকদের মধ্যেও। কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা সত্যিই খুব খুশি। চেনা পরিচিত অনেকেই ফোন করে ওই খবর দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হলেও সেখানকার পদার্থবিদ্যার পড়ুয়া, অধ্যাপকদেরও এই আনন্দ স্পর্শ করছে। কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ডিন বিকাশচন্দ্র পাল বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা একটি কলেজেরই প্রাক্তনী যখন এই সম্মান পান, তখন তা আমাদের সকলের কাছেই অত্যন্ত গর্বের।’’ কলেজের প্রাক্তনী পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমার কলেজ থেকেই থেকে পরপর দু’বার দু’জন এই পুরস্কার পেলেন। খুব গর্বিত।’’ মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শহরে ফিরলে পুরসভার তরফে আমরা তাঁকে নাগরিক সম্মান জানাব।’’