প্রতীকী ছবি।
আজ, সোমবার পৃথিবীর সঙ্গে একই রেখায় আসছে বৃহস্পতি ও শনি গ্রহ। দীর্ঘ প্রায় ৮০০ বছর পর এত কাছাকাছি আসছে দুই গ্রহ। জলপাইগুড়ি শহরের রায়কত পাড়ার বাসিন্দা ৮৪ বছরের সুনীল বিকাশ পাল এই বিরলতম মহাজাগতিক দৃশ্য দেখাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পূর্ত দফতরের অবসরপ্রাপ্ত অধীক্ষক বাস্তুকার সুনীল জলপাইগুড়িতে ‘তারাকাকু’ নামে পরিচিত। এই নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর মহাকাশ চর্চা। বাড়ির ছাদ জুড়েই রয়েছে গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণের সরঞ্জামের সম্ভার। সোমবার বিকেলে মহাজাগতিক এই ঘটনা দেখাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
সুনীলের কথায়, ‘‘দুই বিশাল গ্যাসীয় গ্রহ বৃহস্পতি ও শনি মিলে তৈরি করবে বিরল যুগ্ম গ্রহ। ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই দুই গ্রহ কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে। সোমবার বিকেল ৫.২৮ থেকে রাত ৭.১২ মিনিট পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশের দিগন্তরেখায় দুই গ্রহের মিলন দেখা যাবে।’’
গবেষকেরা জানিয়েছেন, সাধারণ ভাবে ২০ বছর পর পর এই দুই গ্রহের দূরত্ব কিছুটা কমে। কিন্তু এই দুই গ্রহের মিলন ঘটছে প্রায় ৮০০ বছর পরে। ১২২৬ সালের ৪ মার্চ দুই গ্রহের মিলন ঘটেছিল বলে দাবি গবেষকদের। এর পর ২০৮০ এবং ২৪০০ সালে এই মিলন দেখা যাবে বলে দাবি মহাকাশ গবেষকদের।
সুনীল বলেন, ‘‘এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ কিছু কুসংস্কার ছড়ানো হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সকলের কাছে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই বিরল দৃশ্য দেখতে অনুরোধ করছি।’’ অনেকেই ইতিমধ্যে সুনীলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তিনি তাঁর বাড়ির ছাদে দুটি টেলিস্কোপের সাহায্যে এই দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। কুয়াশার কারণে এই দুই গ্রহের মিলন দেখতে কিছুটা অসুবিধে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পার্থসারথি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সকলের কাছে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এই মহাজাগতিক দৃশ্য নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।’’