— প্রতীকী চিত্র।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে কলকাতার এক বেসরকারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃতের ঘর থেকে কিছু কাগজের টুকরো পাওয়া গিয়েছে, যাতে লেখা, শরীরে মাখানো রয়েছে পটাশিয়াম সায়ানাইড। যা ছুঁলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু আত্মঘাতী হওয়ার আগে কেন ১৯ বছরের আদনান শামি গায়ে ওই বিষ মাখলেন? কেনই বা আত্মঘাতী হলেন তিনি? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
বছর ১৯-এর আদনান পড়তেন কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলে। আদত বাড়ি বুনিয়াদপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। আদনানের বাবা মাহবাবুর রহমান পেশায় শিক্ষক। মাস চারেক আগে আদনানের ডেঙ্গি ধরা পড়ে। সেই থেকে তিনি বুনিয়াদপুরের বাড়িতেই থাকতেন। ছোট থেকেই বাইরে পড়াশোনা করার কারণে পাড়ায় আদনানের কোনও বন্ধু ছিল না। ফলে বেশির ভাগ সময় একাই থাকতে হত তাঁকে।
বুধবার সকালে বাড়ির কাজ করছিলেন এক পরিচারিকা। বাড়ির নীচের তলায় আদনান শরীরচর্চা করতেন। সেখানেই তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিচারিকা। দেহের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে হাতে লেখা কিছু কাগজ এবং কয়েকটি কাগজের বাক্স। এই দৃশ্য দেখেই পরিচারিক চিৎকার করে লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করেন। খবর যায় বংশীহারি থানায়। বাড়ির লোকেরাই ধরাধরি করে দেহ নামান। তার পর থেকেই হাতে জ্বলুনী অনুভব করতে থাকেন পরিবারের লোকেরা। উদ্ধার হওয়া কাগজের টুকরো পড়ে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে যে, আদনানের গোটা শরীরে মাখা রয়েছে পটাশিয়াম সায়ানাইড। যা ছুঁলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে চিঠিতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
বংশীহারি থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা আদনানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।