ফাইল চিত্র।
চওড়া জানলা দিয়ে প্রকৃতি দর্শনের মোক্ষম সুযোগ করে দিচ্ছে ভিস্তাডোম কোচ। কিন্তু কালকাতা থেকে আসা একটি বড় অংশের যাত্রী কি শেষ পর্যন্ত এই দর্শনের সুযোগ পাবেন— ভিস্তাডোম কোচের সময়সূচি দেখে এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আজ, শনিবার থেকে জনসাধারণের জন্য চালু হচ্ছে তিন কামরার এই ট্রেনটি। এনজেপি থেকে ভিস্তাডোম বিশেষ ট্রেন ছাড়ার সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিট। যা দেখে অনেকেই বলছেন, এই ট্রেনে দার্জিলিং মেল ও পদাতিক এক্সপ্রেসের যাত্রীদের তো জায়গা হবে না। এনজেপি-তে দার্জিলিং মেল ঢোকার নির্ধারিত সময় সকাল ৮টা ১৫, পদাতিক ঢোকার কথা সকাল ৯টা বেজে ৫ মিনিটে। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রীরা কী ভাবে সুযোগ পাবেন?
রেল অবশ্য ট্রেনটি নিয়ে পরামর্শ চেয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পরে এই বিচ্যুতিগুলি শুধরে নেবে তারা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশ্নটি অনেকেই তুলতে শুরু করেছেন। তাঁরা উদাহরণ দিচ্ছেন কালকা-শিমলার মধ্যে চলাচলকারী টয় ট্রেন শিবালিক এক্সপ্রেসের। হাওড়া থেকে যে কালকা মেল ছাড়ে, তা দু’রাত বাদে ভোরবেলা কালকায় পৌঁছয়। শিবালিক তার পরে শিমলার উদ্দেশে রওনা দেয়। অর্থাৎ, কালকা মেলে যে যাত্রীরা আসছেন, তাঁদের নিয়েই রওনা দেয় শিবালিক। পর্যটনমহলের একাংশের বক্তব্য, কোনও দিন কালকা মেল দেরি করলে শিবালিক অপেক্ষা করে।
এই উদাহরণ দিয়েই ভিস্তাডোমের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, অথচ রেল এই ট্রেনটির ক্ষেত্রে কালকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গের মূল দু’টি ট্রেনের জন্য অপেক্ষাই করল না। ভিস্তাডোম যখন এনজেপি থেকে ছাড়বে, তখন একমাত্র তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস এবং উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের সেখানে ঢোকার কথা। একই সঙ্গে কামরূপ ও সরাইঘাটের মতো ট্রেনের কিছু যাত্রীও এই সুযোগ পাবেন। কিন্তু দার্জিলিং মেল ও পদাতিকের যাত্রীদের ভিস্তাডোম ধরতে হলে পুরো একটা দিন শিলিগুড়িতে থাকতে হবে।
এর আগে মাদারিহাট স্টেশনে থামার কথা ছিল না ভিস্তাডোমের। পর্যটনমহল থেকে চাপ এলে রেল সূচি বদল করে। এর পরে কি সময়ও বদল করা হবে? পর্যটন ব্যবসায়ী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘কিছু দিন দেখে আমরা রেলকে বিষয়টি জানাব।’’ ভিস্তাডোম স্পেশার চালানোর মূল দায়িত্বে আলিপুরদুয়ার ডিভিশন। আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম দিলীপকুমার সিংহ বলেন, ‘‘যাত্রীদের সুযোগ এবং ট্রেনের আয় বাড়াতে আমরা যে কোনও পরামর্শ আহ্বান করছি।’’