উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। —ফাইল চিত্র।
দিনহাটায় বিজেপি নেতার খুনের ঘটনায় স্থানীয় বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের দিকে আঙুল তুললেন তফসিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। তাঁর অভিযোগ, উদয়নের অঙ্গুলিহেলনেই খুন হতে হয়েছে বিজেপি কর্মী প্রশান্ত রায় বসুনিয়াকে। পাশাপাশি এই খুনের ঘটনার তদন্তে স্থানীয় প্রশাসন অসহযোগিতা করলে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেন অরুণ। তিনি জানান, প্রয়োজনে কোচবিহারের জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারকে দিল্লিতে তলব করা হবে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তফসিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যানকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন উদয়ন। অরুণের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।
গত ২ জুন নিজের বাড়িতেই দুষ্কৃতী হামলায় খুন হন বিজেপি কর্মী প্রশান্ত। সেই ঘটনার খোঁজখবর নিতে এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সোমবার দিনহাটার পুটিমারিতে আসেন জাতীয় তফসিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। সেখান থেকে তাঁর অভিযোগ, ‘‘উদয়ন গুহের অঙ্গুলিহেলনে দুষ্কৃতীদের একটি দল তাঁর বাড়িতে ঢুকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রশান্ত রায় বসুনিয়াকে। এখনও পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়নি।’’ প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলে তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যানের দাবি, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ২২ শতাংশ তফসিলি ভোটকে নিজের হাতে রেখে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তারপরেও বাংলায় তফসিলি এবং রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচার হয়ে চলেছে।’’ কেন বার বার অপরাধের ঘটনা ঘটছে এই প্রশ্ন তুলে তিনি জানান, অপরাধমূলক ঘটনার জন্য কয়েক মাসের মধ্যে ৬ বার কমিশনকে আসতে হল। এই থেকে প্রমাণিত বাংলার আইনশৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।
তফসিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান যখন মৃত বিজেপি নেতার বাড়িতে আসেন, ঠিক তখনই সেখানে উপস্থিত হন কোচবিহার জেলার ৩ বিজেপি বিধায়ক। এ নিয়ে অরুণকে পাল্টা খোঁচা দেন উদয়ন। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা ওঁকে (অরুণ হালদারকে) গদিতে বসিয়েছেন, তিনি তাঁদেরই কথা বলছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই ধরনের কথা বলেন।’’ এখানেই থামেননি উদয়ন। কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এমন চেয়ারম্যান থাকলে তফসিলি জাতির উন্নয়ন কোনও দিনই হবে না। অবিলম্বে ওঁকে চেয়ার থেকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে পদত্যাগ করানো উচিত। এঁদের জন্যই তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। দোষীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’