পড়ে রয়েছে গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
সঙ্গীতা কুণ্ডু অপহরণের মামলায় জিম-পার্লারের কর্ণধার পরিমল সরকারের গাড়ির চালক বিক্রম ঝা-র বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত৷ বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেবপ্রিয় বসু ওই নির্দেশ দেন৷ বিক্রমের আইনজীবী তার জামিনের আবেদন জানালে আদালত তা খারিজ করে দেয়৷
গত ১৭ অগস্ট পরিমলবাবুর অফিসের কর্মী সঙ্গীতা নিখোঁজ হন। পরে তা নিয়ে তরুণীর পরিবার অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। সেই মামলায় গাড়ি চালক বিক্রমকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ওই দিন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতর নির্দেশ দেন৷ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে এ দিন বিক্রমকে ফের আদালতে তোলা হয়৷ তাঁর আইনজীবী আকাশদীপ শীল আদালতে বলেন, “সঙ্গীতা নিখোঁজের ঘটনার সঙ্গে আমার মক্কেলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ সে শুধুমাত্র সংস্থার গাড়ি চালাতো৷’’ তাঁর দাবি, ‘‘অপহরণের ঘটনাটি সুন্দর করে সাজাতেই তদন্তকারী সংস্থা বিক্রমকে গ্রেফতার করেছে৷” এই অবস্থায় বিক্রমের জামিনের জন্য তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেন৷
মামলার সরকারি আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করে দাবি করেন, ‘‘গোটা ষড়যন্ত্রে বিক্রম সহ গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেকেই জড়িত৷ বিক্রমও পরিমলকে সাহায্য করেছে৷ তাই তাঁকে যেন জামিন দেওয়া না হয়৷ দু’পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পরে বিচারক বিক্রমকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন৷ প্রদীপবাবু জানান, আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বিক্রমকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
এই অবস্থায় শিলিগুড়ির গুরুঙ্গ বস্তিতে পড়ে রয়েছে একটি ছোট গাড়ি। গুরুঙ্গবস্তির মোড় থেকে বাজারে যাওয়ার পথে একটি মন্দিরের কাছে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে গাড়িটি। ধুলোর আস্তরণ পড়েছে। পরিমলবাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন, গাড়িটি তাঁদেরই। চাবি হারিয়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে বলে তাঁর দাবি। তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সেমিক লেপচা বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’