সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের। — ফাইল চিত্র।
আগাম জামিনের আবেদনের মামলায় জলপাইগুড়ি সার্কিটের ডিভিশন বেঞ্চে কিছুদিনের জন্য ‘স্বস্তি’ মিললেও সার্কিটেরই একক বেঞ্চের শুনানিতে সিবিআই ‘কাঁটা’ রয়েই গেল সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের। দম্পতিকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগের মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার তদন্তচকারী অফিসারকে কাঠগড়ায় তুলে বিচারপতির প্রশ্ন, “এতদিন কী করলেন? এ বার আপনার সঙ্গে কী করা হবে বলুন?” পুলিশের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। এজলাসে মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জানতে চান, মামলায় অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ পুরপ্রধান এবং পুরপ্রতিনিধি, এঁদের কী প্রভাবশালী বলা যায় না? সরকারি আইনজীবী জানান, হ্যাঁ বলা যায়।
মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানিতে সৈকতের হয়ে সওয়াল করেন রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। বিজেপির তরফে কল্লোল মণ্ডল, দেবজিৎ সরকারেরা জামিনের বিরোধিতা করেন। ডিভিশন বেঞ্চ দু’পক্ষকে হলফনামা, পাল্টা হলফনামা জমা দিতে বলেন। জুনে ফের শুনানি হবে। ততদিন পর্যন্ত বেঞ্চের অনুমতি ছাড়া সৈকতকে এই মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ বেঞ্চের।
মামলার শুনানির পরেই দম্পতির দিদি তথা বিজেপির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের তদন্তে সিবিআই চেয়ে মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। মামলার শুনানি চলাকালীন সরকার পক্ষ এবং পুলিশের তরফে জানানো হয় তিন অভিযুক্তের খোঁজ মিলছে না। পুরপ্রতিনিধি ফেরার। কারও মোবাইল খোলা নেই। যা শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, “দিয়ে দেব সিবিআই? তখন সব পাওয়া যাবে!” সরকারি আইনজীবী বিক্রমাদিত্য ঘোষ বলেন, “পুলিশ সবরকম চেষ্টা করছে। আর এক দিন সময় দিন, অভিযুক্তদের পুলিশ ধরবে।” এ ব্যাপারে কী কী পদক্ষেপ করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা, সেই জবাবে বিচারপতি সন্তুষ্ট হতে না পেরে তাঁকে ভর্ৎসনা করেছেন।