বালুরঘাটে মিঠুনের পোস্টার ও ফ্লেক্স ছেড়া নিয়ে তরজা। —নিজস্ব চিত্র।
মহালয়ার দিন উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের লোকসভা কেন্দ্র বালুরঘাটে পুজো উদ্বোধনে এসেছিলেন। তার আগে দলীয় কার্যালয়ে ছিল বৈঠক। কিন্তু রবিবার মিঠুন বালুরঘাট পৌঁছনোর আগে ছেঁড়া হল তাঁর ও সুকান্ত মজুমদারের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ও ফেস্টুন। এ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘নোংরা রাজনীতির’ অভিযোগ আনল বিজেপি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।
শনিবার প্রথমে অভিযোগ ওঠে বালুরঘাট ট্যাঙ্ক মোড় থেকে নিউটাউন ক্লাব পর্যন্ত প্রায় দু’ কিলোমিটার রাস্তায় বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্তের ফেস্টুন লাগানোর কাজ করছিলেন দলের কর্মীরা। প্রথমে তাঁরা অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। দাবি করেন, বালুরঘাট থানার পুলিশ এসে ফ্লেক্স খুলে দেয়। এই খবর পৌঁছয় জেলা বিজেপির নেতৃত্বের কাছে। তবে পুরসভার তরফে রাস্তায় আলোর কাজ হবে বলে ও ফ্লেক্স খোলা হয়েছে বলে তাদের জানানো হয়। যদিও পুরসভার তরফে কেউ এ বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। উল্টে ফ্লেক্স খোলার ঘটনাই অস্বীকার করা হয়।
কিন্তু রবিবার সকালে দেখা যায় রাস্তার ধারে মিঠুন ও সুকান্তের ছবি সম্বলিত সমস্ত ফ্লেক্স ছেঁড়া। এ নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘আমাদের ফ্লেক্স ছিঁড়েছে তৃণমূলের লোকজন। পুলিশ আগের দিন ফ্লেক্স খুলেছে। আজ এ নিয়ে কিছু বলব না। তবে এটা নোংরা রাজনীতি। পুজো উদ্বোধন হয়ে গেলে আমরা এ নিয়ে এফআইআর করব থানায়।’’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, সোমবার থেকে দুর্গাপুজো পর্যন্ত বালুরঘাটে পুলিশের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করবে বিজেপি।
এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকী বলেন, ‘‘এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা দল করি। উনি এই সব নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। মানুষের পাশে থাকার মধ্যে দিয়ে কাজ করাটাই আমাদের দলের কাজ।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বালুরঘাটে রাজ্য সভাপতি ও স্থানীয় বিজেপির মধ্যে মতানৈক্য আছে। দুই দলের কাজিয়ায় কিছু হলে সেটা তৃণমূলের উপরে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা আগাগোড়া লক্ষ করা গিয়েছে।’’