লাইনচ্যুত টয়ট্রেন। —নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিঙের ঘুম স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ল টয় ট্রেন। রেল সূত্রে খবর, শনিবার ঘুম স্টেশন থেকে ওই টয় ট্রেনটি ছাড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ট্রেনটির ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর না মিললেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে পর্যটকদের নিয়ে শিলিগুড়ির দিকে রওনা হয় টয় ট্রেনটি। ঘুম স্টেশন পর্যন্ত ঠিকঠাক ভাবে চললেও স্টেশন পেরোতেই থেকে ইঞ্জিনটি খুলে যায়। হুড়মুড় করে থেমে যায় টয় ট্রেনটি। থমকে যায় যাত্রা। টয় ট্রেন লাইনচ্যুত হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। পর পর টয় ট্রেন সফর বাতিল করা শুরু করেন যাত্রীরা।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই টয় ট্রেনে ছিলেন শ্রেয়সী চক্রবর্তী নামে এক পর্যটক। তিনি বলেন, ‘‘পরিবার নিয়ে দার্জিলিং বেড়াতে এসেছিলাম। টয় ট্রেন করে ফেরার ইচ্ছে ছিল শিলিগুড়ি। কিন্তু ইঞ্জিনের এ ভাবে লাইনচ্যুত হওয়ার কারনে সত্যিই ভয় পেয়ে গিয়েছি। পরিবার নিয়ে এসেছি তো! তএখন সড়কপথেই ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ অমলেশ কুন্ডু নামে আর এক পর্যটক বলেন, ‘‘এ ভাবে পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা মোটেই উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়। এখানে সবাই পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে যাত্রা করছি। কাজেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আর হেরিটেজ টয় ট্রেন মাঝে মধ্যেই লাইনচ্যুত হওয়ার খবর শুনি। কিন্তু এ বার সেটা যে আমাদের সঙ্গেই ঘটবে তা কল্পনাও করতে পারিনি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বারংবার এমন হলে তো টয় ট্রেনের মান কমে যায়। রেলের কাছে আমাদের অনুরোধ, ব্যবস্থাপনার দিকটা খতিয়ে দেখুন।’’
এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়িগামী টয় ট্রেনটি ঘুম স্টেশন পেরোনোর পর লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। উদ্ধারের কাজ চলছে। যাত্রীদের বিকল্প ট্রেনের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সড়কপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তাঁদের টিকিটের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’’ পুরো ঘটনাকে তিনি দুঃখজনক বলেছেন।