• আপনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এবং এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান থাকাকালীন জলপাইগুড়ির আর্ট গ্যালারির বেসরকারি নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। সে সময় আর্ট গ্যালারির রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিকাঠামো উন্নতির যে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার অনেক কিছুই পূরণ করা হয়নি। যেমন মঞ্চে আধুনিক আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি, শব্দ সংযোজনের ব্যবস্থা হয়নি, মঞ্চের ফ্লোরও ভাঙাচোরাই রয়ে গিয়েছে। বাতানুকুল যন্ত্র কাজ করছে না। শুধু তাই নয়, শৌচাগারেও জল থাকে না। কতদিন এমন চলবে?
সব্যসাচী দত্ত, জলপাইগুড়ি
মন্ত্রী: গত বছরই বাতানুকূল যন্ত্র মেরামত করে দেওয়া হয়েছিল। যে সংস্থা আর্ট গ্যালারির পরিচালনার ভার পেয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলব।
• ন্যায্য মূলের দোকান হয়েছে, কিন্তু সেখানে সব ওষুধ মিলছে না। ফলে প্রকল্পের উদ্দেশ্যই ভেস্তে যাচ্ছে। এই বিষয়টা একটু দেখবেন কী?
রীনা ভারতী, জলপাইগুড়ি
মন্ত্রী: কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা কয়েকটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করেছি।
• সেবকে করোনেশন সেতুর সামান্তরাল ভাবে আরও একটি সেতু এবং রাস্তা চাই। মাঝেমধ্যেই ধস বা যানজটে সেতুর রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, সমান্তরাল রাস্তা থাকলে সেই দুর্ভোগ কমবে। মালবাজারকে কেন্দ্র করে গরুমারা এবং লাগোয়া বনাঞ্চচলে পর্যটকদের সাফারি করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে? তবে মালবাজার শহরের অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব হবে। নানা নদী, ঝোরায় সেতু তৈরি হচ্ছে। মালবাজারে চেল নদী কী একটি সেতু পেতে পারে না?
সঞ্জয় সোম, শিক্ষক, মালবাজার
মন্ত্রী: করোনেশন একটি হেরিটেজ ব্রিজ, এটাকে সংরক্ষণ করতেই হবে। এই সেতুর সমান্তরাল একটি সেতু এবং রাস্তা তৈরি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিস্তারিত পরিকল্পনা যাকে ডিপিআর বলা হয় তা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দও করেছে, জায়গাও চিহ্নিত হয়েছে। কাজ শুরু হবে। গজলডোবা দিয়ে ডুয়ার্সে যোগাযোগের বিকল্প সেতুও তৈরি হয়েছে। মালবাজারকে কেন্দ্র করে সাফারির প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হবে। চেল নদীতে সেতু তৈরি এখনই সম্ভব নয়। চেল এত দ্রুত নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে যে সেখানে একবছর সেতু তৈরি করলে, দেখা যাবে পরের বছর সেখানে নদী নেই। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী থাকাকালীন