Sikkim Flood

খারাপ আবহাওয়ায় এয়ারলিফ্ট হল না, আবার ধসে বন্ধ সড়ক, রবিবারও উদ্ধার করা গেল না পর্যটকদের

উত্তর সিকিমে এখনও বৃষ্টিতে বিরাম নেই। ফলে রাস্তার কয়েক জায়গায় নতুন করে ধস নেমেছে। এর জেরে সড়কপথে উদ্ধারকাজ চালানো ক্রমশ আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ১৪:৩৪
Share:

নতুন করে ধস সিকিম পাহাড়ে। — নিজস্ব চিত্র।

সিকিম ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের নাজেহাল অবস্থা কাটার কোনও দিশা দেখা যাচ্ছে না। খারাপ আবহাওয়ার কারণে রবিবার হেলিকপ্টারে পর্যটকদের নিরাপদ জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। অবিরাম বৃষ্টির জেরে রাস্তার একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। বিকল্প হিসাবে যে সড়কপথে পর্যটকদের নামিয়ে আনার কথা ভাবা হয়েছিল, তা আপাতত হচ্ছে না। ফলে, আটকে থাকা পর্যটকেরা কখন সমতলে নামবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

উত্তর সিকিমে পর্যটকদের উদ্ধারকাজ থমকে গেল। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রবিবার সকাল থেকে হেলিকপ্টারে পর্যটকদের উদ্ধারের পরিকল্পনা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাতে ব্যাঘাত ঘটে। অন্য দিকে, নতুন করে একাধিক জায়গায় ধসের কারণে সড়কপথেও রবিবার পর্যটকদের উদ্ধার করা গেল না। এখন অপেক্ষা সোমবারের। সোমবার বৃষ্টি কমলে এবং পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলে নতুন করে উদ্ধারকাজ আরম্ভ করা হবে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পর্যটকদের উদ্ধার করা হবে। তবে আবহাওয়া একই রকম খারাপ থাকলে সড়কপথে বিকল্প ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, সোমবার উত্তর সিকিমের টুং থেকে পাঁচ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা পায়ে হেঁটে পেরোতে হবে আটকে পড়া পর্যটকদের। টুং থেকে মাঙ্গন পর্যন্ত ধস পেরিয়ে সেখান থেকে পর্যটন সংস্থার গাড়িতে তাঁরা গ্যাংটকের উদ্দেশে রওনা দেবেন।

বস্তুত, আবহাওয়ার কথা ভেবে সোমবারের জন্য যে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে, প্রশাসন ভেবেছিল, রবিবার আবহাওয়া ঠিক থাকলে সেই অনুযায়ীই পর্যটকদের উদ্ধার করে নামিয়ে নিয়ে আসার কাজ করা হবে। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে আকাশের মুখে ভার। অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে সিকিমে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে সিকিমের ‘লাইফলাইন’ হিসাবে পরিচিত ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement