জমায়েত: কানকি বাসস্ট্যান্ডের সমাবেশে মহিলারা। নিজস্ব চিত্র
নতুন নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-মঞ্চে দেড় বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে বসলেন তাহেরুন বেগমও। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে তাঁর পাশে থাকলেন সালমা, হালিমারাও। মঙ্গলবার চাকুলিয়ার কানকি বাসস্ট্যান্ডে ‘দেশ বাঁচাও সংবিধান রক্ষা কমিটি’র ধর্নামঞ্চে দেখা গেল এমনই ছবি।
সোমবার থেকে কানকি বাসস্ট্যান্ডে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অনেকটা নয়াদিল্লির শাহিনবাগের ধাঁচেই। আয়োজকদের বক্তব্য, ‘‘দ্বিতীয় দিনেও ভাল সাড়া মিলেছে। প্রতিবাদে, স্লোগানে সরব হয়েছে মঞ্চ। শাহিনবাগ বা কলকাতার পার্কসার্কাস দেখিয়েছে আন্দোলনের ভাষা। এক টুকরো শাহিনবাগই যেন চাকুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় ফুটে উঠেছে।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিনও বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা নতুন নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে সরব হন। এ দিনও মঞ্চে ছিলেন চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)।
আন্দোলনের এই মঞ্চকে ‘রাজনৈতিক’ বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তবে এ দিন আয়োজকদের দাবি, তৃণমূলের কয়েক জন স্থানীয় নেতাও এ দিন তাঁদের ধর্না মঞ্চে আসেন। তবে ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিনহাজউল আরফিন আজাদের দাবি, ‘‘তৃণমূলের কেউ ওই ধর্না মঞ্চে যাননি। কারণ ওই মঞ্চ ফরওয়ার্ড ব্লকের।’’
এ দিনের বিক্ষোভে শামিল এক তরুণী বলেন, ‘‘আমাদের সংবিধান, দেশরক্ষা এবং নাগরিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল হয়েছি।’’