সিপিএমের শহিদ স্মরণ

ধূপগুড়িতে সিপিএমের পঞ্চ শহিদ দিবস পালন করা হল বুধবার। ২০০২ সালের ১৭ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ধূপগুড়ি সিপিএম পার্টি অফিসে ঢুকে দলের পাঁচ কর্মীকে গুলি করে মেরেছিল কেএলও জঙ্গিরা। তাই এই বিশেষ দিনটিতে প্রতি বছর শহিদ দিবস পালন করে সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪০
Share:

ধূপগুড়িতে সিপিএমের পঞ্চ শহিদ দিবস পালন করা হল বুধবার। ২০০২ সালের ১৭ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ধূপগুড়ি সিপিএম পার্টি অফিসে ঢুকে দলের পাঁচ কর্মীকে গুলি করে মেরেছিল কেএলও জঙ্গিরা। তাই এই বিশেষ দিনটিতে প্রতি বছর শহিদ দিবস পালন করে সিপিএম।

Advertisement

ধূপগুড়ি ডাকবাংলোর সামনে বুধবার নিহত পাঁচ সিপিএম কর্মির ছবি রেখে, প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁদের স্মরণ করে দলের কর্মী ও শহিদদের পরিবারের সদস্যরা। একটি স্বাস্থ্য শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছিল। সন্ধ্যায় হয় মোমবাতি নিয়ে
পথ পরিক্রমা।

২০০২ সালের সেই সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে আলোচনা করার সময় আচমকা একদল সশস্ত্র কেএলও জঙ্গি পার্টি অফিসে ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তদানীন্তন সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ গোপাল চাকি সহ দলের কর্মী সুবল রায়, গনেশ রায়, দুলাল রায় ও গোঁসাই শিলের। আহত হন আরও ১২ জন সিপিএম কর্মী। পরদিন ধূপগুড়িতে বন‌্ধ পালন করা হয়েছিল। তারপর পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও জঙ্গিদের ধরতে পারেনি।

Advertisement

তার আগে ২০০০ সালে ৭ আগস্ট কেএলও জঙ্গিরা ধূপগুড়ির একটি প্রাথমিক স্কুলে ক্লাস চলাকালীন পড়ুয়াদের সামনে গুলি করে মারে সিপিএমের জোনাল সম্পাদক সুভাষ সরকারকে। গুলি লেগে আহত হয়েছিল এক পড়ুয়াও।

সিপিএমের ধূপগুড়ি লোকাল কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত মজুমদার বলেন, “২০০০-২০০২ সালের সেই কালো দিনগুলি মনে পড়লে এখনও বুক কেঁপে ওঠে। কোনদিনই বর্বর কেএলও জঙ্গিদের ক্ষমা করতে পারব না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement