Coronavirus

২৪ ঘণ্টায় শূন্য, স্বস্তি মালদহে

দিল্লি থেকে তিন জন একসঙ্গেই ফিরেছিলেন বাড়িতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৭:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি

কোনও দিন ১০ জন, কোনও দিন ৩১ জনের লালারসে করোনা ‘পজ়িটিভ’ মিলেছে মালদহে।

Advertisement

শুক্রবার রাতে একেবারেই অন্য ছবি। সংগৃহীত নমুনা-পরীক্ষার রিপোর্টে মালদহে আক্রান্তের সংখ্যা ‘শূন্য’ থাকায় কিছুটা স্বস্তি পেল স্বাস্থ্য দফতর। তবে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরেরই কর্তারা। তাঁদের দাবি, নমুনা পরীক্ষায় ‘বকেয়া’র সংখ্যা রয়েছে দু’হাজারেরও বেশি। পাশাপাশি দিনে শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ রাজ্য থেকে ঢুকছেন জেলায়। তাতে করোনা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছেই মালদহে।

শনিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে আইটিআই কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছাড়া পেয়েছেন করোনা আক্রান্ত তিন রোগী। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। দিল্লি থেকে তিন জন একসঙ্গেই ফিরেছিলেন বাড়িতে। তাঁদের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ১২ দিন ধরে হরিশ্চন্দ্রপুরে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন তাঁরা।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছিল। এখন তিন জনই সুস্থ। তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলেও হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় খুশি ওই তিন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা।

মালদহে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল মানিকচকে। এক মাসের মধ্যে সেই সংখ্যা অনেক বেড়েছে জেলায়। প্রশাসনিক হিসেবে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মালদহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৮। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মালদহের কোভিড হাসপাতালের এক নার্সও।

স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জেলায় করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দিনে গড়ে ৪০০-৫০০ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার পরেও বকেয়া রয়েছে অনেক। এখনও পর্যন্ত সেই সংখ্যা ২ হাজার ২৯৫। নমুনা সংগ্রহ বাড়তেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।

দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরের কোভিড হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করার পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, মানিকচকের মতো ব্লকে আইসোলশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জনেরও বেশি। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধকারিক ভূষণ চক্রবতী বলেন, “করোনা পরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। রোগীদের সঠিক সময়ে চিকিৎসাও শুরু হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement