বেলা গড়ানোর আগেই ভোটদান রায়গঞ্জে

মঙ্গলবার সকালে তখনও ভোট নেওয়া শুরু হয়নি। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন রায়গঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৃহবধূ জয়া চক্রবর্তী। তখন সকাল সবে সাড়ে ৬টা।

Advertisement

গৌর আচার্য

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০২:৩৭
Share:

পুনর্নির্বাচন: তিন দিনে দু’বার ভোট রায়গঞ্জে। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।

মঙ্গলবার সকালে তখনও ভোট নেওয়া শুরু হয়নি। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন রায়গঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৃহবধূ জয়া চক্রবর্তী। তখন সকাল সবে সাড়ে ৬টা। ২২ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচনে সকাল ৭টা থেকে ভোট নেওয়ার কাজ শুরু হতেই জনা চারেক ভোটারের পরেই তিনি ভোট দেন। জয়ার কথায়, ‘‘আগের দিন কিছু লোক বুথে ঢুকে ইভিএম মেশিনটাই আছড়ে ভেঙে দিল। বাইরে গুলি চলল। ভোটাররা আতঙ্কে বাড়িতে ফিরে গেলেন। তাই এদিন গোলমালের আশঙ্কায় আগেই ভোট দিয়েছি।’’

Advertisement

ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৃহবধূ মীরা পাল ও সীমা সরকারও জানান, গণ্ডগোলের আশঙ্কায় তাঁরাও সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন। ওয়ার্ডের প্রায় ১০০ জন মহিলা এ দিন সকাল ১০টার মধ্যেই ভোট দিতে বুথের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। মিলনপাড়া এলাকার বাসিন্দা আর এক তরুণী সুদীপা পালের দাবি, ‘‘দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে গোলমাল করার চেষ্টা করলে আমরা বুঝে নিতাম।’’

সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ভোট দেন ব্যবসায়ী বাবন সাহা ও শঙ্কর চক্রবর্তীও। তাঁদের দাবি, মহিলারা একজোট হয়ে থাকলে দুষ্কৃতীরা সহজে বুঝতে পারবে না, তাঁদের রুখে দেওয়ার জন্যই মহিলারা একজোট হয়ে রয়েছেন। শুধু জয়া, মীরা, সীমা ও সুদীপা নন, গোলমালের আশঙ্কায় ও পরবর্তীতে তা মোকাবিলা করতে এ দিন শতাধিক মহিলা সহ প্রায় সাড়ে ৫০০ ভোটার বেলা ১১টার মধ্যেই ভোট দেন।

Advertisement

বিকাল ৫টা নাগাদ মিলনপাড়ার দ্বারকানাথ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই বুথে অবশ্য নির্বিঘ্নেই পুনর্নির্বাচন শেষ হয়েছে। ওই বুথের ১২৯৭ জন ভোটারের মধ্যে ৯৪৭ জন ভোট দিয়েছেন। ওই ওয়ার্ডে শাসক দলের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূলের সভাপতি পুষ্পা মজুমদার। কংগ্রেস ও সিপিএমের সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন বিপ্লব ঘোষ ও বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন উজ্বলকুমার দাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement