ধর্ষণের তদন্তে ঢিলেমি

পুলিশ জানায়, এনজেপি থানা এলাকায় একটি দরিদ্র পরিবারে মা ও ১৬ বছরের মেয়ে এক সঙ্গে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৯
Share:

নাবালিকা গণধর্ষণের দুই অভিযুক্ত। নিজস্ব চিত্র

হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে পুরো দেশ উত্তাল। শিলিগুড়িতেও তার প্রতিবাদে শুরু হয়েছে মোমবাতি মিছিল, ঠিক সেই সময় এনজেপি থানা এবং ভক্তিনগর থানা এলাকায় দু’টি আলাদা ঘটনায় ফের দুই নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। দীর্ঘ দিন আগে অভিযোগ দায়ের হলেও সেগুলি নিয়ে পুলিশ পদক্ষেপ করতে দেরি করেছে বলেও দাবি অভিযোগকারীদের পরিবারের। পুলিশকর্তাদের দাবি, একটি ঘটনায়, দু’জনকে ধরা হয়েছে। দু’টি ঘটনায় এখনও ফেরার মোট ৭ জন অভিযুক্ত।

Advertisement

পুলিশ জানায়, এনজেপি থানা এলাকায় একটি দরিদ্র পরিবারে মা ও ১৬ বছরের মেয়ে এক সঙ্গে থাকে। গত ২৩ নভেম্বর রাতে মেয়েটিকে তাদের আত্মীয় চার যুবক এবং দু’জন বাইরের যুবক মিলে বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে চাপানউতোর-ঝামেলা চলে। মেয়েটির মা থানায় অভিযোগ করতে গেলে তা প্রথমে পুলিশ নিতে চায়নি বলে দাবি মেয়েটির পরিবারের কয়েক জন সদস্যের। তার পর এলাকার তৃণমূল নেতা তথা অঞ্চল সভাপতি তপন সিংহ এলাকায় গিয়ে দুই পরিবারের সঙ্গে বসে কথা বলে বিষয়টি সালিশি মেটানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফুলবাড়ি ১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সভাপতি তপন সিংহ। তাঁর দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে ভুল অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে দাবি পরিবারের। আমি গিয়ে কথা বলেছি মাত্র। কোনও সালিশি করিনি।’’ পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে নাবালিকা তার সমস্যার কথা বললে, তাদের অভয়েই অভিযোগ দায়ের হয়। ওই নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়েছে। ঘটনায় এখনও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, সালিশি করে মেটানোর চেষ্টায় সময় পেয়ে কি অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালাল?

গত ২৩ নভেম্বরই ভক্তিনগর থানা এলাকাতেও বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে এলাকার তিন যুবক গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘদিন পর ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে ভক্তিনগর থানা পুলিশ।

Advertisement

শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভক্তিনগরের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনজেপির ঘটনাটি জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement