—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন হবে। তার আগে গ্রামে-গ্রামে শুরু হল ‘রামকলস’ যাত্রা। অযোধ্যা থেকে এক লক্ষ ৭০ হাজার কলস পৌঁছেছে কোচবিহারে। আরও এক লক্ষ ৩০ হাজার কলস খুব শীঘ্রই পৌঁছবে। সেই কলস নিয়ে গ্রামে-গ্রামে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে ‘শ্রী রাম জন্মভূমিতীর্থক্ষেত্র ন্যাস’-এর পক্ষ থেকে। পিছনে রয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। বাড়িতে-বাড়িতে ওই কলস পৌঁছে দেবেন সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যেরা। বিজেপি কর্মীরাও ময়দানে নেমেছেন তাঁদের সঙ্গে। সোমবার সংগঠনের উত্তরবঙ্গ প্রান্তের প্রমুখ শ্যামচরণ রায় কোচবিহারে পৌঁছন। তাঁর নেতৃত্বে ‘ন্যাস’-এর কয়েক জনপ্ৰতিনিধি মদনমোহন মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। সেখানে একটি ‘রামকলস’ রাখা হয়। সংগঠনের কোচবিহার জেলার কার্যকর্তা জ্যোতিষ্করঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘আমরা জেলার প্রত্যেক বাড়ি-বাড়িতে গিয়ে কলস পৌঁছে দেব।’’
সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, রামমন্দিরের উদ্বোধনের আগে, প্রত্যেকটি জেলায় রামমন্দির নিয়ে প্রচার করা হবে। গ্রামে-গ্রামে মিছিল হবে। সেই সঙ্গে প্ৰত্যেক বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে ‘ন্যাস’-এর সদস্যেরা রামমন্দির উদ্বোধনে সবাইকে হাজির থাকার আমন্ত্রণ জানাবেন। যাঁরা হাজির থাকতে পারবেন, তাঁরা বাড়িতে-বাড়িতে সে রামকলস পুজো করবেন। সে সঙ্গে প্ৰত্যেক বাড়িতে পাঁচটি করে প্রদীপ জ্বালানোর আর্জি জানানো হয়েছে।
রামমন্দির নিয়ে যে মিছিল হচ্ছে, তাতে মূলত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদেরই প্রথম সারিতে দেখা যাচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সুকৌশলে রামমন্দির নিয়ে ভোটের প্রচার করছে। লোকসভার আগে এ ভাবেই নিজেদের পালে হাওয়া তুলতে চাইছে তারা। তৃণমূল অবশ্য তা নিয়ে সরাসরি মাঠে নেমে পাল্টা বার্তা দেওয়ার কথা ভাবছে না।তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘ধর্ম-মন্দির নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বিজেপি।’’ বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু যদিও বলেছেন, ‘‘রামমন্দির নিয়ে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই।’’