ফাইল চিত্র।
বন্ধ থাকা কার্শিয়াং মহকুমার লংভিউ চা বাগানে জটিলতা কাটাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। সোমবার সাংসদ কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার এবং বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে রাজ্যের বাগানটির সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
১০ অগস্ট থেকে বাগানের সব শ্রমিকেরা একযোগে রিলে অনশন শুরু করেছেন। গত বছরের বকেয়া বোনাস, পিএফ সহ বিভিন্ন পাওনার দাবিতে রিলে অনশন চলছে। মোর্চা, জিএনএলএফ, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন একযোগে রয়েছে এই আন্দোলনে। এতে বাগানের কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মালিকপক্ষ। ২১ অগস্ট বাগানে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অগস্টের পর পরিস্থিতির বদল না হলে আমরণ অনশন করবেন তাঁরা।
সাংসদ বলেন, ‘‘রাজ্যের শ্রম দফতরের বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে এগিয়ে আসতে হতো। তাহলে হয়ত এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছি। রাজ্য সরকার, মালিকপক্ষ, চা পর্যদকেও এগিয়ে আসতে হবে। চা শিল্প বা শ্রমিক স্বার্থে আমাকে কোনওক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে আমি তৈরি আছি।’’
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, লংভিউ চা বাগান দেশের অন্যতম পুরনো বাগানগুলির মধ্যে একটি। ১৮৭৯ সালে চালু বাগানটিতে ১২৫২ জনের মতো শ্রমিক কাজ করেন। ১০২০ হেক্টর জমির মধ্যে বাগানে ৫০৬ হেক্টরে চা বাগান রয়েছে। প্রতি বছর বাগানে ৫-৭ লক্ষ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়। বাগানটির উপর নির্ভরশীল প্রায় ৫৩০০ জন।
২০১৯ সালে বোনাস চূড়ান্ত হলেও কোনও কোনও বাগান দু’দফায় তা দেবে বলে জানিয়েছিল। লংভিউতে তা বকেয়া রয়েছে। পিএফও বকেয়া। যদিও মালিকপক্ষ প্রশাসনকে জানিয়েছে, বাগানে কোনও শ্রমিকের মজুরি বকেয়া নেই। করোনায় ব্যবসা তলানিতে তাই বোনাসের অংশ আপাতত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জিএনএফের নিমা লামা, মোর্চার সন্তোষ গোলের মত নেতারা জানান, শ্রমিকেরা রাজনীতি ভুলে দাবি আদায়ে একম়ঞ্চে এসেছেন। প্রয়োজনে আরও বড় আন্দোলন হবে।
জেলাশাসক এস পুন্নবল্লম বলেছেন, ‘‘কার্শিয়াঙের শ্রম দফতর আলোচনা শুরু করেছে। আমরাও বিষয়টি দেখছি।’’