জল বাড়ছে তিস্তায়। নিজস্ব চিত্র।
প্রবল বর্ষণের জেরে ফুঁসছে উত্তরবঙ্গের একাধিক নদী। জলস্তর বেড়েছে তিস্তা, বালাসন, জলঢাকার মতো নদীগুলির। এর উপর বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতি চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই তিস্তার চেহারা বদলাতে থাকে। বাড়তে থাকে নদীর জলস্তর। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গজলডোবায় তিস্তা বাঁধের মোট ৪৫টি লকগেটের মধ্যে ১১টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির তিস্তা এবং জলঢাকা নদীতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে হলুদ সতর্কতা উঠিয়ে নিলেও, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আবার তা জারি করা হয়। বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা-সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি বাড়ি রাত থেকেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। অন্য দিকে, জলস্তর বেড়েছে তিস্তারও। তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত যে এলাকা রয়েছে, সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় বালাসন সেতুর ডাইভারশন সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ডাইভারশন সেতু এবং তার সংযোগকারী রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার জেরেই যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কোচবিহারের তোর্সা, কালজানি, গদাধর, রায়ডাক নদীরও জলস্তর বেড়েছে। তার জেরে আশঙ্কায় রয়েছেন নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা। ডুয়ার্সে একটানা বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে নদীগুলি। এরই মধ্যে অবিরাম বৃষ্টিতে গিলান্ডি নদীর বাঁধের প্রায় ২০ মিটার এলাকা ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা ২ নম্বর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের খট্টিমারি বাজার সংলগ্ন ত্রিনাথ মন্দির এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দার্জিলিং এবং কালিম্পঙেও দফায় দফায় মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। পাহাড়ে এখন পর্যটকের সংখ্যা কমেছে। তবে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ ভাবে হোটেলবন্দি। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজার্ভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলেন, ‘‘এখনও ৫০ শতাংশ হোটেলে পর্যটকরা রয়েছেন। তাঁরা সকলেই হোটেল বন্দি। অনেকে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।