প্রতীকী ছবি।
বেশ কিছু জায়গায় যখন গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের স্টপেজ বাডানোর দাবি উঠছে, তখনই বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু স্টপেজ তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিতে চলেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। এই আঞ্চলিক রেল এলাকায় ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ রুটের ট্রেনে ৫০টিরও বেশি স্টপেজ তুলে দেওয়ার কথাবার্তা চলছে বলে রেল সূত্রেরই দাবি। যদিও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা জানান, আলোচনা চলছে। কোন কোন স্টপেজ তোলা হবে, তা এখনও চূডান্ত হয়নি।
লকডাউনে ব্যাপকভাবে ব্যবসা মার খেয়ে যাওয়ার পর নানা প্রক্রিয়ায় সেগুলি পোষানোর চেষ্টা করছে রেল।। কিন্তু তা করতে গিয়ে রেল পরিষেবার একটি অংশ বেসরকারিকরণের যেমন অভিযোগ উঠছে, তেমনি কোপ পডেছে যাত্রী পরিষেবাতেও। সেই ধারা বজায় রেখেই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে চলেছে রেল। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বেশ কিছু মেল ও এক্সপ্রেসের স্টপেজ তুলে দেওয়া হবে। ওই আঞ্চলিক রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘যে সব স্টেশনগুলি থেকে টিকিট কাটার হার কমেছে, লোকজন ওঠানামাও করেন না সেগুলি তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনাই করা হচ্ছে। তবে চূডান্ত হলে আমরা জানাব।’’
রেল সূত্রের দাবি, দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রে রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টের মধ্যে বেশ কিছু স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামার হার কম বলে লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেগুলিতেই স্টপেজ তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। তবে সেই স্টেশনগুলির স্টপেজ পুরোপুরি তোলা হবে না বলেই রেল সূত্রে দাবি। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ক্ষেত্রে সেই স্টেশনগুলিতে স্টপেজ থাকবে। রেলের যুক্তি, এ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ট্রেনের গতি বাডানো এবং খরচ কমানো সম্ভব হবে।