দার্জিলিঙে টয়ট্রেন। —ফাইল চিত্র।
বার বার কেন লাইনচ্যুত হচ্ছে দার্জিলিঙের টয়ট্রেন? কারণ খুঁজতে নামলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধকারিকরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের বিভিন্ন জিনিস খুঁটিয়ে দেখা শুরু করেছেন তাঁরা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার, সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার, ডিএইচআরের আধিকারিকরা শালবাড়ি, রংটং থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক বার দার্জিলিঙে লাইনচ্যুত হয়েছে টয়ট্রেন। গত জানুয়ারি মাসেই একাধিক বার এই ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে তিন দিনের ভিতরে দু’বার ঘুম রেল স্টেশনের কাছে একই জায়গায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পর্যটক বোঝাই টয়ট্রেন। দুর্ঘটনায় কোনও ক্ষতি না হলেও মাঝে মধ্যেই এমন ঘটনায় যাত্রীসুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগ বা ত্রুটির কারণে যত বার টয়ট্রেনে বিপত্তি ঘটেছে, তত বারই পর্যটকদের সড়কপথে গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন এই গোলযোগ? রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। এরই প্রেক্ষিতে ‘তদন্তে’ নামলেন রেল আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার রেলপথ পরিদর্শন শেষে সিনিয়র ডিসিএম প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘‘পাহাড় এমনিতেই ভৌগোলিক ভাবে খুব দুর্গম। মাঝেমধ্যেই ধস নামে। পাথরের কারণে রেললাইনের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া মাটি দুর্বল হওয়ার কারণে রেললাইনের ক্ষতি হয়। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি একাধিক বার টয়ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। তার কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার উপর সর্বোচ্চ নজর রয়েছে তাঁদের। টয়ট্রেন পরিষেবা কী ভাবে উন্নত করা যায়, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ডিএইচআর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিদর্শনের সময় চারটি ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিত করেছেন রেল আধিকারিকেরা। ধসপ্রবণ এলাকা এবং যেখানে দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, টয়ট্রেনের স্টিম ইঞ্জিন একশো বছরের পুরনো হওয়ায় সেগুলির ত্রুটি মেরামত-সহ রক্ষণাবেক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে।