অবরোধের জেরে আটকে পড়েছে ট্রেন। —নিজস্ব চিত্র।
হল্ট স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করানোর দাবিতে জলপাইগুড়িতে রেল অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে হলদিবাড়ি-নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে চলাচল করা ডিএমইউ ট্রেন আটকে দিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের নন্দনপুর কেরারপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই সেখানে একটি হল্ট স্টেশন চালু ছিল। কিন্তু কোভিড অতিমারির পর হল্ট স্টেশনটি বন্ধ করে দেয় রেল। অবশ্য স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে গত ডিসেম্বর মাসে রেলের তরফে জানানো হয়, জানুয়ারি থেকে আবার নন্দনপুর কেরারপাড়া হল্ট স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে। রেলের তরফে প্রতিশ্রুতি মিললেও তা কার্যকর হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের।
এই রেল অবরোধের জেরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে মিতালি এক্সপ্রেস, হলদিবাড়ি স্টেশনে কলকাতা-হলদিবাড়ি সুপারফাস্ট ট্রেন, বেলাকোবায় দার্জিলিং মেল-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন আটকে পড়ে। আটকে পড়ে বেশ কিছু লোকাল ট্রেনও। সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে অবরোধ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে রেললাইনে বসে অবরোধ-বিক্ষোভে চলার পর পুলিশ এবং রেলরক্ষী বাহিনী এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
বিক্ষোভ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা তথা নাগরিক কমিটির সম্পাদক অনুপম বারারি বলেন, “করোনার সময় স্টপেজ তুলে নেওয়া হয়েছিল। রেল রোকো আন্দোলন করেছিলাম সেই সময়। চাপে পড়ে ২৭ ডিসেম্বর কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএমের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, জানুয়ারি মাস থেকে হল্ট স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে। তার পর জানানো হল, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে স্টপেজ দেওয়া হবে। সেটাও না হওয়ায় আমরা আজকে আবার রেল রোকো আন্দোলনে শামিল হয়েছি।” এই বিষয়ে উত্তর-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে-কে একাধিক বার ফোন করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।