Raiganj Murder

রায়গঞ্জে বধূর হত্যাকারী পরিচিত কেউ, সন্দেহ পুলিশের, চুরি-ডাকাতি উদ্দেশ্য নয় বলেই অনুমান

শুক্রবার বিকেলে বধূর ছেলে বাড়িতে ঢুকে তাঁর মাকে শোয়ার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মৃতের পরিবারের দাবি, বাড়িতে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২২ ২০:৪৭
Share:

বধূর খুনের নেপথ্যে কারণ কী? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

রায়গঞ্জের মহিলা খুনের তদন্তে মূল অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গিয়েছে। নিছক চুরির জন্য ওই মহিলাকে গলা কেটে খুন করা হয়নি। পিছনে রয়েছে ‘অন্য কারণ’। প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই জানা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন উত্তর দিনাজপুরের ডিএসপি ইয়ং তামাং। তবে এই ‘অন্য কারণ’ তদন্তের স্বার্থে এখনই খোলসা করতে নারাজ পুলিশ।

Advertisement

তদন্তকারীরা মনে করছেন খুনি পরিচিত কোনও ব্যক্তি। ডিএসপি ইয়ং তামাং বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই খুনিকে শনাক্ত করতে গিয়েছে। চুরির জন্য এই খুন নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রহস্যের মোড়ক খুলবে। তবে খুনি মৃতের পরিচিত বলেই মনে করা হচ্ছে।’’

শুক্রবার বিকেলে নিজেদের বাড়িতেই সুপ্রিয়া দত্ত নামে বছর একচল্লিশের এক মহিলার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লির এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতের পরিবারের দাবি, বাড়িতে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। সুপ্রিয়ার ছেলে বাড়িতে ঢুকে মাকে শোয়ার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন প্রথমে।

Advertisement

এই মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে নেমে পুলিশ-কুকুর আনা হয়েছে। পুলিশ-কুকুর গন্ধ শুঁকে ওই বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরে শহরের মূল রাস্তা দিয়ে রায়গঞ্জ স্টেশনের দিকে ছুটতে থাকে। ওই পথে ছোটার সময় শহরে বেশ কিছু জায়গায় দাঁড়ায় কুকুরটি। তবে কিছুটা দূর গিয়ে যেন হকচকিয়ে যায় সে। ওই অনুযায়ী তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) এসওজি দল ওই ঘটনার তদন্তে নামে। তারা বেশ কিছু জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে অপরাধীকে শনাক্ত করেও ফেলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement