—প্রতীকী চিত্র।
রায়গঞ্জ শহরে জোড়া খুনের অভিযোগে ধৃত রতন সরকার খুনের ঘটনার পরে স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। রবিবার রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক কাদিরা সুলতানার কাছে গোপন জবানবন্দিতেও রায়গঞ্জের দেবীনগরের কান্তনগরের বাসিন্দা রতনের স্ত্রী এ কথা দাবি করেন বলে আদালত সূত্রে খবর। এ দিন আদালত রতনকে ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। জোড়া খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ ও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য রতনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার রায়গঞ্জ শহরের একটি বাড়ি থেকে তপন দে (৫৫) ও মিন্টু সরকার (৪০) নামে দুই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তপনের বাড়ি থেকে দেহ দু’টি উদ্ধার হয়। মিন্টুর বাড়ি হেমতাবাদের ঠাকুরবাড়িতে। ওই ঘটনার পরে দুই ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে কলেজপাড়া এলাকা থেকে রতনকে প্রথমে আটক ও রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তপন ও মিন্টু রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন। রতন পূর্ত দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীর পদে কাজ করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, ওই দিন দুপুরে তপনের বাড়িতে নেশার আসরে পুরনো গোলমালকে কেন্দ্র করে দা দিয়ে প্রথমে মিন্টুর ও পরে তপনের মাথায় ও ঘাড়ে কোপ মেরে তাঁদের খুন করা হয়। তদন্তকারী এক পুলিশ কর্তার কথায়, “টাকা-পয়সা লেনদেন ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে রতন মিন্টু ও তপনকে কুপিয়ে খুন করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের ঘটনার পর দুষ্কৃতী খুনে ব্যবহৃত দা তপনের বাড়ির কলতলায় রেখে রক্তমাখা হাত ধুয়ে পালিয়ে যায়। তপনের নাবালিকা মেয়ের অভিযোগ, রতন তার বাবাকে কুপিয়ে খুন করেছে। মিন্টুর মা রেখা সরকার বলেন, “রতন পরিকল্পিত ভাবে শুক্রবার রাতে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শনিবার ওকে খুন করে।” যদিও এ দিন রতন দাবি করেছেন, “আমি কাউকে খুন করিনি। আমি নির্দোষ।” রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার জানিয়েছেন, জোড়া খুনের ঘটনায় তদন্ত অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।